বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালানো করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে, বেড়েছে সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৩১ জন এবং মারা গেছেন ৭ হাজার ৫৩২ জন। পাশপাশি, এই দিন করোনার ভয়ানক থাবা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪০ জন।
শনিবার (৯ অক্টোবর) করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণের তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
আগের দিন, বৃহস্পতিবার বিশ্বে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪ জন। ওইদিন এ রোগে মারা গিয়েছিলেন ৭ হাজার ৮৭৪ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৯৮ জন।
অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ২৬ হাজার ৩৪৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা কমেছে ৩৫২ জন।
এবং, এই সময়সীমার মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েছে ৫ হাজার ৪২ জন।
বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও করোনায় নতুন আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, এই দিন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ২৯৮ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ১ হাজার ৯৩৭ জন।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে সে দেশসমূহ হলো – যুক্তরাজ্য (নতুন রোগী ৩৬ হাজার ৬০, মৃত্যু ১২৪), তুরস্ক (নতুন রোগী ৩০ হাজার ২০১, মৃত্যু ১৮৮), রাশিয়া (নতুন রোগী ২৭ হাজার ২৪৬, মৃত্যু ৯৩৬), ভারত (নতুন রোগী ১৯ হাজার ৮৭০, মৃত্যু ২৪৮), এবং ব্রাজিল (নতুন রোগী ১৯ হাজার ৮৭০, মৃত্যু ৬২৮)।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৬ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন মোট ৪৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮২ জন।
এছাড়া, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২১ কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার ৮৬০ জন।
বর্তমানে বিশ্বে সক্রিয় করোনারোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৩৩৪ জন। আক্রান্ত এই রোগীদের মধ্যে মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার ৯৬৭ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮৩ হাজার ৩৬৭ জন।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে কোভিড ভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।