আন্তর্জাতিকসর্বশেষ

বিশ্বে আরও ৮ হাজার মৃত্যু, শনাক্ত সাড়ে ৪ লাখ


গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে করোনা রোগী শনাক্ত। এসময় শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার ৫১৭ জন। আর ৮ হাজার ১৭৫ জন মারা গেছেন।
এর আগের দিন বুধবার (৬ অক্টোবর) করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৪ লাখ ৮ হাজার ৮১৬ জনে। আর এ ভাইরাসে মারা গিয়েছিলেন ৭ হাজার ৪৫৬ জন।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে ৪৮ লাখ ৩৯ হাজার ৪২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ২৩ কোটি ৭০ লাখ ৪৯ হাজার ৬ জন। এর মধ্যে ২১ কোটি ৪১ লাখ ৮৮ হাজার ৮২২১ জন সুস্থ হয়েছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫৫ জন। আর মারা গেছেন ২ হাজার ৯৩ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৯ লাখ ১৩ হাজার ৯৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৭৪ জন মারা গেছেন।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২ হাজার ৬১৭ জনের। আর মারা গেছেন ৩১৫ জন। ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৩৮ লাখ ৯৩ হাজার ২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৩ জন।
তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা মোট ২ কোটি ১৫ লাখ ১৭ হাজার ৫১৪ জন হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৯৯ হাজার ৪১৪ জন। আর সেরে উঠেছেন ২ কোটি ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯৩৬ জন।
তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬০ হাজার ১৫৫ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৬৩৫ জন। আর ১৫ লাখ ২১ হাজার ১১৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের করোনা পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়।
এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *