ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) মুঠোফোনশিল্পের অবদান মোট সম্ভাবনার ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। করোনার প্রভাবে কিছুটা ধীর গতিতে হলেও গত বছরের শেষ নাগাদ এসডিজির ১৭টি সূচকেই অগ্রগতি ছিল। বিশ্বব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সংগঠন জিএসএম অ্যালায়েন্সের (জিএসএমএ) এসডিজি-বিষয়ক প্রতিবেদন ‘২০২১ মোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট’-এ এমনটা জানানো হয়।
এসডিজির নবম লক্ষ্যমাত্রা অর্থাৎ শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামোতে মুঠোফোনশিল্পের অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল। এই অবদান বাড়ার পেছনে কারণ হিসেবে মুঠোফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
২০২০ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বে ৫২০ কোটি মুঠোফোন গ্রাহক ছিল, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৯ সালের তুলনায় ২২ কোটি বেড়ে ২০২০ সালে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪০০ কোটিতে পৌঁছেছে। গত বছরের শেষে বিশ্বের ৯৪ শতাংশ মানুষ থ্রি-জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। ফোরজি এবং ফাইভ-জি পৌঁছেছে বিশ্বের ৮৭ এবং ১৭ শতাংশ মানুষের কাছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও যে বিষয়গুলো উঠে আসে
নানা অনলাইন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০২০ সালে ৩৩০ কোটি মানুষ মুঠোফোনে ভিডিও কল করেছেন। এর মধ্যে ঘরে থেকে কাজ, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা গ্রহণ উল্লেখযোগ্য।
২৬০ কোটি মানুষ মোবাইল আর্থিক সেবা ব্যবহার করেছেন, যা মোট মুঠোফোন গ্রাহকের ৫০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ২৭ কোটি বেশি।
২৩০ কোটি মানুষ মুঠোফোনে পণ্য ও সেবা কিনেছেন, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৩০ কোটি বেশি এবং মোট মুঠোফোন গ্রাহকের ৪৫ শতাংশ।
২০২০ সালে এসডিজিতে মুঠোফোন খাতের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল আর্থিক সেবায় ১২০ কোটি নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট, মুঠোফোন ব্যবহার করে ২০০ কোটি মানুষের শিক্ষা গ্রহণ, মুঠোফোন ব্যবহার করে ১০০ কোটি নারীর পণ্য ও সেবা ক্রয় ইত্যাদি।
মুঠোফোনের সংযোগসংখ্যার বিচারে ৬৯ শতাংশ এবং আয়ের বিচারে ৮০ শতাংশ মোবাইল ফোন অপারেটর জলবায়ু পরিবর্তনে তাঁদের ক্ষতিকর প্রভাব প্রকাশ করেছেন। আর সংযোগের পরিমাণের বিচারে ৩১ শতাংশ এবং মোট আয়ের বিচারে ৩৬ শতাংশ মোবাইল ফোন অপারেটর ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ নিট শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
আরো পড়ুন: