প্রচ্ছদ

বিশ্বের এই ১০টি দেশকে দুই বছর পরও ছুঁতে পারেনি করোনা!

ডেস্ক প্রতিবেদন, ধূমকেতু বাংলা: করোনা আবহে বদলেছে ‘স্বাভাবিক’-এর সংজ্ঞা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গত দুই বছর ধরে বেশ কিছু দেশ করোনভাইরাস ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।

করোনাভাইরাস অতিমারী বিশ্বে আঘাত হানার দুই বছর পূরণ হয়েছে। এই অতিমারী বিশ্বের ‘স্বাভাবিক’-এর সংজ্ঞা পরিবর্তন করেছে। এমন কোনও একটা বিষয় নেই যার উপর করোনা প্রভাব ফেলেনি এই গত দুই বছরে। ভ্রমণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মক্ষেত্র হোক বা বিনোদোন, সবই এখন কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে নিজেদের ঢেলে সাজিয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কিছু দেশ করোনভাইরাস মহামারী ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। এই দেশগুলিতে করোনার কোনও কেস রিপোর্ট হয়নি!

করোনার সংস্পর্শে না আসা এই দেশগুলির অধিকাংশই প্রশান্ত ও অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপপুঞ্জ। এই দেশগুলি দ্বীপ হওয়ায় করোনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে মত। কোভিড ঠেকাতে প্রথম থেকেই আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ করেছে দেশগুলি। প্রথম থেকেই বিধিনিষেধ আরোপ করে কোভিড ঠেকাতে বদ্ধপরিকর ছিল এই দেশগুলি। সীমানায় শুধুমাত্র সমুদ্র থাকায় কোভিড ঠেকাতে বিশেষ সুবিধাও পেয়েছে দেশগুলি। অবশ্য তালিকায় থাকা দেশের দুটিতে আবার একনায়কতন্ত্র চলে, তাই সেই দেশগুলির সঠিক তথ্য পাওয়াও কঠিন। তবে সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সেখানেও কোভিড ঢুকতে পারেনি।

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের এই স্বাধীন দ্বীপটি করোনভাইরাস সংক্রমণকে সফল ভাবে ঠেকিয়েছে। কমনওয়েলথের সদস্যভুক্ত টুভালু সফলভাবে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিছু ক্ষেত্রে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হলেও বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন মানতে হত। তিনটি রিফ দ্বীপ এবং ছয়টি প্রবালপ্রাচীরের সমন্বিত এই দ্বীপের মোট এলাকা ২৫ বর্গ কিলোমিটার। ডব্লিউএইচওর মতে, সেদেশে জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ সম্পূর্ণরূপে টিকা পেয়েছেন।

টোকেলাউ: ডাব্লুএইচও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ক্ষুদ্র প্রবাল দ্বীপকে কোভিড-১৯ মুক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। টোকেলাউ ১০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ক্ষুদ্র কতগুলি দ্বীপের সমষ্টি এবং এর জনসংখ্যা মাত্র ১৫০০। এই দেশে কোনও বিমানবন্দর না থাকায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ততটা নেই। নিউজিল্যান্ডের কাছে অবস্থিত এই দ্বীপে জাহাজের মাধ্যমে যাওয়া যায়।

সেন্ট হেলেনা: এটি দক্ষিণ অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের একটি ব্রিটিশ বিদেশী অঞ্চল। সেন্ট হেলেনা বিশ্বের অন্যতম প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হয়।

পিটকের্ন দ্বীপপুঞ্জ: এগুলি প্রশান্ত মহাসাগরের চারটি আগ্নেয় দ্বীপের সমষ্টি। সিআইএ ওয়েবসাইটের কান্ট্রি প্রোফাইল অনুযায়ী, এখানকার স্বল্প সংখ্যক বাসিন্দাদের বেশিরভাগই অ্যাডামটাউন গ্রামের কাছে থাকে।

নিউই: এই দ্বীপ দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল দ্বীপগুলির মধ্যে একটি। নিউজিল্যান্ড থেকে প্রায় ২৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপ। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ড সমর্থন করেছিল নিউইকে।

নাউরু: আয়তনে এটি বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। নাউরু কিরিবাতির প্রতিবেশী দেশ। স্থানীয় প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণেই দেশে কোভিডের খবর পাওয়া যায়নি।

কিরিবাতি: হাওয়াই থেকে ৩২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এখানকার প্রশাসন প্রথম দিকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং মুষ্টিমেয় কিছু ফ্লাইটের আগমনে কোভিড ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। এখানে কঠোরভাবে নিয়ম মানায় কোভিডের বিস্তার ঠেকানো বন্ধ করা গিয়েছে।

মাইক্রোনেশিয়া: মাইক্রোনেশিয়া ফেডারেশন ৬০০টিরও বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দেশ। দেশটি কোভিডকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে সমর্থন পেয়েছে। সেই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং জাপানের মতো দেশগুলিও কোভিড ঠেকাতে সাহায্য করেছিল মাইক্রোনেশিয়া।

তাছাড়া উত্তর কোরিয়া এবং তুর্কমেনিস্তান নিজেদের কোভিডমুক্ত দাবি করলেও সেই সরকারি তথ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তাদের।

আরো পড়ুন:

এবার মক্কার হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করা যাবে ভার্চুয়ালি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *