বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধি ও খাদ্য সংকট আরও বাড়তে পারে
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধি ও খাদ্য সংকট আরও বাড়তে পারে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এরমধ্যে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
বুধবার (১৮ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, খাদ্যের উচ্চমূল্যের কারণে দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য সংকট আরও তীব্র হয়েছে। ইউক্রেনের যুদ্ধাবস্থা না কাটলে বিশ্ব দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে।
খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক ‘গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি কল টু অ্যাকশনে’র বৈঠকে মহাসচিব বলেন, টানা দুবছর করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে ৭ কোটি ৬০ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে রয়েছে যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ।
রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে ইউক্রেন সূর্যমুখী তেল, ভুট্টা ও গমের মতো পণ্য রফতানি করতে পারছে না। ফলে পণ্যগুলোর দাম বেড়েছে। জাতিসংঘের মতে, এ সংঘাতের ফলে অপুষ্টি, ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় লাখ লাখ মানুষ ভুগতে পারে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদন ও রাশিয়া-বেলারুশের উৎপাদিত সারকে বৈশ্বিক বাজারে সরবরাহের স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে খাদ্য সংকটের কোনো কার্যকর সমাধান মিলবে না।
শুধু রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের ৩০ শতাংশ গম সরবরাহ করে। যুদ্ধের আগেইউক্রেন প্রতি মাসে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন কৃষি পণ্য রফতানি করত। বর্তমানে ইউক্রেনে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন শস্য আটকে আছে, অথচ রফতানি করতে পারছে না।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, রাশিয়াকে অবশ্যই ইউক্রেনের বন্দরে আটকে থাকা পণ্যের রফতানির অনুমতি দিতে হবে। আমরা এ বিষয়ে রাশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক,যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ করছি।
এ সময় জাতিসংঘের খাদ্য দফতরের প্রধান বন্দরগুলো খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান। বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর কথা বিবেচনা করে শিগগিরই বন্দর খুলে দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।