খেলাধুলা

বিশ্বকাপের রঙে সাজছে মরুর শহর মাসকট

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: আমরাত ও হাজোর পাহাড় দুটি আল আমেরাত স্টেডিয়ামের দু’দিকের বেষ্টনী। রুক্ষ পাথরের পাহাড়দ্বয়ের বুকে সবুজের চিহ্নমাত্র না থাকলেও পাদদেশে সবুজের গালিচা। এই সবুজের মখমলেই ক্রিকেটের সালতানাত। যে কমপ্লেক্সটিতে আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত টি২০ বিশ্বকাপের উৎসব হবে। মরুর পাহাড়ি শহর মাসকটে যে এমন একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম আছে, বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে নির্বাচিত করা না হলে ক্রিকেট বিশ্বের তা অজানাই থেকে যেত। সবুজের ক্রিকেট নন্দনকানন গড়ে উঠেছে একদল বাঙালির হাতে। ওমান ক্রিকেটের মাঠকর্মী হিসেবে যত্নের ছোঁয়া দিয়ে বিশ্বকাপের জন্য মাঠটিকে প্রস্তুত করেছেন তারা। যে মাঠে কাল উদ্বোধন হবে টি২০ বিশ্বকাপের।

এই ভেন্যুতে খেলা হবে বাছাই পর্বের ‘বি’ গ্রুপের চার দলের ম্যাচ। বাংলাদেশ ছাড়া বাকি তিন দলই আইসিসির সহযোগী দেশ। টুর্নামেন্টে টাইগাররা ভালো খেললে ভেন্যুর ফোকাসও বাড়বে। নিজেদের পারফরম্যান্স দেখানো এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতির জন্য মাহমুদউল্লাহদের উদ্বোধনী দিন থেকে জম্পেশ ক্রিকেট খেলা খুবই জরুরি। সর্বস্ব উজাড় করে সেটা হয়তো চেষ্টাও করবে টিম বাংলাদেশ। আল আমেরাত স্টেডিয়ামে বাছাই পর্বের গ্রুপ ম্যাচ খেলা হলেও বেশ কয়েকটি দল মাসকট ঘুরে গেছে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য স্বাগতিকদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে গেছে শ্রীলঙ্কা। গতকাল ইংল্যান্ড দলকে অনুশীলন করতে দেখা গেল মাসকটে। ওমানের ক্রিকেট সাংগঠনিক দক্ষতা এই দলগুলোর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়বে ক্রিকেট বিশ্বে। আরব আমিরাতের মতো ওমানও একদিন ক্রিকেটের নিরপেক্ষ ভেন্যু হয়ে উঠতে পারে। শুধু মাঠ তৈরি করেই না, ক্রিকেটটাও ভালো খেলে ওমান। টানা দ্বিতীয় টি২০ বিশ্বকাপ খেলছে তারা। ২০১৬ সালে বাছাই রাউন্ড থেকে বাদ পড়লেও এবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে ওমান সুপার টুয়েলভে উন্নীত হলে বিশ্বকাপটা জমে যাবে। মধ্যপ্রাচ্য সমর্থন করার মতো একটি দল পেয়ে যাবে।

প্রথমবারের মতো দেশটিতে বিশ্বকাপের খেলা হলেও তেমন উন্মাদনা চোখে পড়েনি। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা প্রবাসীদের মধ্যেই বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি আগ্রহ। ব্যানার-ফেস্টুন না থাকলেও টি২০ বিশ্বকাপের খোঁজখবর রাখেন সবাই। কন্ডিশনিং ক্যাম্প করে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে সে আগ্রহ অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দল। বায়োসিকিউর বাবলের কড়াকড়ি থাকায় ক্রিকেটাররা হোটেল শাংগ্রি-লা থেকে বের হতে না পারলেও উত্তাপটা টের পাচ্ছেন ঠিকই। অন্য তিনটি দলও উঠেছে এই হোটেলে। আইসিসির ব্যানার-ফেস্টুনও আছে হোটেল কমপ্লেক্সে। তবে আল আমেরাত স্টেডিয়ামে গেলে বিশ্বকাপের উত্তাপটা ভালোভাবে লাগে। একদিকে আইসিসি অফিসিয়ালদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে অফিস। গেট সাজানো হয়েছে টি২০ বিশ্বকাপের রঙে। গ্যালারি ঝকঝকে করে তোলা হয়েছে। শেষ মুহূর্তের গোছগাছ চলছে ভেন্যুতে। মাঠকর্মীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন স্টেডিয়ামটি নিখুঁত করে তুলতে। গতকাল তো সাংবাদিকদেরও স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স ঘুরে দেখতে দেয়নি। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়ার জন্য ভেন্যু উন্মুক্ত করা হবে। এই প্রথম সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনও রেখেছে আইসিসি। নিউ নরমাল সময়ে বিশ্বকাপ কাভার করতে আসা সাংবাদিকদেরও নতুন অভিজ্ঞতা দিচ্ছে ২০২১ টি২০ বিশ্বকাপ এবং মাসকটের আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

আরো পড়ুন:

এবার ইন্টার মিলান কিনতে চান সৌদি যুবরাজ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *