প্রচ্ছদ

বিয়ের জন্য ট্যাংক ভাড়া

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: বরযাত্রা নানাভাবে স্মরণীয় করে রাখতে চান অনেকেই। এ জন্য কেউ হাতির পিঠে চড়ে, কেউবা হেলিকপ্টারে উড়ে যেতে চান বিয়ের আসরে। কেউ কেউ আবার দুর্লভ নকশার, অভিজাত ও দামি কিংবা বিচিত্র দেখতে গাড়ি ভাড়া করতে চান। এর মধ্য দিয়ে বিবাহযাত্রায় বৈচিত্র্য খোঁজা হয়। বিয়ে করতে যাওয়ার জন্য সাঁজোয়া যান ট্যাংক ভাড়া করার ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। তবে এমনই এক বিচিত্র সেবা চালু রয়েছে যুক্তরাজ্যে।

বিচিত্র এই সেবাকে ‘ট্যাংক ট্যাক্সি’ নামে ডাকা হচ্ছে। এই সেবা নিয়ে গত মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রচার করেছে মার্কিন টিভি চ্যানেল সিবিএস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু বিয়েতে নয়, আপনি চাইলে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজনেও এই ট্যাংক ভাড়া নিতে পারেন। সে জন্য আপনার পকেট থেকে গুনতে হবে এক হাজার মার্কিন ডলার।

দেখতে হুবহু সামরিক ট্যাংকের মতোই এই ট্যাংক ট্যাক্সি। একসময় অবশ্য সেনাবাহিনীর সদস্যদের বহন করা হতো এই যানে। বর্তমানে এই যানের মালিক মেরলিন ব্যাটচেলর। তাঁর বাড়ি যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন থেকে ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নরউইচ শহরে। সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে পুরোনো এই যান কিনে নেন তিনি। এরপর বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশে সেটিকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছেন মেরলিন। এ জন্য তার খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার।

এখন বিয়ে ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজনে যানটি ভাড়া দিচ্ছেন মেরলিন। শুধু তা-ই নয়, এসব আয়োজনে নিজেই এই ট্যাংক ট্যাক্সি চালান। মেরলিন বলেন, ‘এই ট্যাংক ট্যাক্সি নিয়ে পথে নামলে সবাই তাকিয়ে থাকে, হাসে ও মজা করে। এটা খুবই মজার। আমার সন্তানেরা এটিতে চড়ে কেনাকাটা করতে যেতে খুব পছন্দ করে।’

ধীরে ধীরে ব্যবসা জমে উঠছে মেরলিনের। এই বিষয়ে তিনি বলেন, শুরুতে শুধু প্রতিবেশী-বন্ধুরা এই সেবা নিয়েছে। পরে ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হয়েছে। এখন অপরিচিত অনেকেই বিভিন্ন আয়োজনে এই সেবা নেন।

বিচিত্র এই যানের বিমা করেছেন মেরলিন। এটির ভেতরে যাত্রীদের বসার জন্য রয়েছে আরামদায়ক গদিওয়ালা আসন। আপাতত শুধু বিয়ে ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ব্যবহারের জন্য এটির লাইসেন্স দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এখন মেরলিন আশা করছেন, শিগগিরই জন্মদিনসহ ব্যক্তিগত ও সামাজিক অন্যান্য আয়োজনেও ব্যবহারের জন্য এই ট্যাংক ট্যাক্সির অনুমোদন পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুন:

অনুপমার প্রশংসা করলেন শ্রীময়ী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *