ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিধায়ক (এমএলএ) হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর স্পিকারের ঘরে চা-চক্রে সৌজন্য বিনিময় করেন দুই জন। এই শপথ অনুষ্ঠানকে পরে রাজ্যপাল ঐতিহাসিক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন।
তবে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন না বিজেপির কোনো বিধায়ক। বিরোধী শূন্য বিধানসভায় শপথ নেন মমতা।
চলতি বছরের মে মাসে বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম আসনে মমতা ব্যানার্জি হেরেছিলেন অল্প ভোটের ব্যবধানে। নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে এমএলএ নির্বাচিত হতে হতো। সম্প্রতি ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জিতেছেন তিনি। জেতার পর কবে এবং কোথায় শপথ গ্রহণ করবেন তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পক্ষ থেকে গত ৪ অক্টোবর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে বার্তা পাঠানো হয় রাজভবনে। কিন্তু তাতে সম্মতি মেলেনি। গত মঙ্গলবার রাজভবনের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়, ৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ নবনির্বাচিত তিন বিধায়ককেই শপথবাক্য পাঠ করাবেন। সেই অনুযায়ী গতকাল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।
নিয়ম অনুযায়ী রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। আর বিধানসভায় এমএলএদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার। তবে চাইলে রাজ্যপালও সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে বিধানসভায় গিয়ে এমলএদের শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালরা এতদিন ভারতের সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী সেই ক্ষমতা দিয়ে রেখেছিলেন বিধানসভার স্পিকারকে। কিন্তু সেই অধিকার প্রত্যাহার করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
আরো পড়ুন:
রাজ্যের সবচেয়ে তরুণ মুখ্যমন্ত্রী পেল সিডনি