নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: সাবমেরিন কেবল দিয়ে দুর্গম চরে পৌঁছে যাচ্ছে বিদ্যুতের আলো। সেই আলোয় লেখাপড়া, রান্না, ফ্যান, টিভি চলছে। পাশাপাশি খেতে বিদ্যুতের মাধ্যমে সেচ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কুড়িগ্রামের চরবাসী।
১৬ নদ-নদীর কুড়িগ্রাম জেলায় আড়াইশ’র মতো দ্বীপচরে সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বাস। প্রান্তিক এই মানুষের বছরের একেকটা সময় নাম বদলে হয় বানভাসি, খরায় পোড়া আর তীব্র শীতে কাঁপা শীতার্ত। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এসব জনপদে যাতায়াতের ভরসা কেবল নৌকা। মৌসুমভিত্তিক দিনমজুরির আয়ে সংসার চলে তাদের।
তবে সেই জীবনযাত্রা বদলে যেতে শুরু করেছে। বিদ্যুতের আলো এখন তাদের ঘরে ঘরে। এমন আলোয় ভরা জীবনের কথা কখনো ভাবেননি তারা।
১৮টি পয়েন্ট দিয়ে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমার, গঙ্গাধর ও কালজানী’র তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবল টেনে ৪ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ৪০টি দ্বীপচরে ৪শ’ কিলোমিটার লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।
কুড়িগ্রাম বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার খাদেমুল ইসলাম জানান, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর তলদেশ দিয়ে ঘনবসতি চরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি।
ইতোমধ্যে চরগুলোতে ১৪ হাজার ৫৬০ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. মহিতুল ইসলাম জানান, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সব গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে চরের মানুষের জীবনযাত্রার মানই বদলে যাতে শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ-এই স্লোগানে সরকারের শতভাগ প্রকল্প এবং কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুত সমিতি যৌথভাবে ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি বাস্তবায়ন করছে। গত ২০ নভেম্বর থেকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।
আরো পড়ুন: