বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম এবং হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় বুয়েট-শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি। অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) এ সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এসব কোনোটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি একটি সুদূরপ্রসারী, একটি আধিপত্যবাদী চক্রান্ত। আমরা দেখেছি আজকে এ সরকার আধিপত্যবাদের তাঁবেদারি করছে। পুতুল সরকারে পরিণত হয়েছে তারা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুধু আজকে নয়, ১৯৭২ সাল থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত একই ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশকে একটা তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের একটা মোড়ক লাগিয়ে এবং গণতন্ত্রের কথা বলে তারা একই কায়দায় সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ও তাঁবেদার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
এ সরকারকে অবশ্যই সরে যেতে হবে এবং জনগণের কাছে তাদের ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে দাবি করে ফখরুল বলেন, এই সরকারের কীর্তি বর্ণনা করে আমি আপনাদের সময় নষ্ট করতে চাই না। কারণ বলার কোনো জায়গা নেই। এ কয়েক বছরে বাংলাদেশকে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। কোথাও কোনো জবাবদিহি নেই, কোথাও কোনো ন্যায়বিচার নেই। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই ফ্যাসিবাদী, তাঁবেদার সরকারের ভূমিকা পালন করেছে। গণতন্ত্রের মোড়ক লাগিয়ে একই কায়দায় এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। এই কয়েক বছরে বাংলাদেশকে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। কোথাও কোনো কিছুর নিরাপত্তা নেই।
দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই এ ভয়াবহ জালিম সরকারকে উচ্ছেদ করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি। এ অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে আমাদের দেশমাতাকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।
অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠন অ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু সভাপতিত্ব করেন।