ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে তীব্র বায়ুদূষণের কারণে বাড়ির ভেতরে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখতে বিভিন্ন নার্সারি থেকে গাছ কিনতে ভিড় করছেন নগরবাসী। এ ছাড়া বেড়ে গেছে বায়ু বিশুদ্ধকরণ মেশিন বিক্রি।
এর আগে বায়ুদূষণ পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হওয়ায় সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
দীপাবলি উৎসবের পর থেকেই বিষাক্ত ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে দিল্লির বাতাস। তীব্র বায়ুদূষণের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না দিল্লিবাসী। তাই দিশেহারা নগরবাসী এখন বিশুদ্ধ বায়ুর খোঁজে ছুটছেন বিভিন্ন নার্সারিতে। ঘরের ভেতর অক্সিজেন বাড়াতে গাছ কিনতে যাচ্ছেন তারা।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহে কার্যকর ভূমিকা রাখে ইনডোর প্ল্যান্ট। এ কারণেই ঘরের ভেতর সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি বিশুদ্ধ অক্সিজেন পেতে ইনডোর প্ল্যান্ট শুরু করেছেন অনেকে।
নার্সারিতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, আমার একটা ছাদ-বাগান আছে। বায়ুদূষণ বাড়ায় সেটাকে আরও ভালো করে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এখানকার নার্সারিতে ভালো ভালো গাছ রয়েছে। সেগুলো কিনতে এসেছি।
আরেকজন ক্রেতা বলেন, বাসার জন্য কিছু গাছ কিনতে এসেছি। যেভাবে দূষণ বাড়ছে। তাতে বেঁচে থাকা কষ্টকর হচ্ছে। ইনডোর প্ল্যান্ট করলে হয়তো রুমের ভেতর অন্তত মনভরে নিশ্বাস নিতে পারব।
শুধু ইনডোর প্ল্যান্ট নয়, তীব্র বায়ুদূষণের কবল থেকে বাঁচতে এয়ার পিউরিফাইং মেশিন কিনছেন কেউ কেউ। দীপাবলি উৎসবের পর ইলেকট্রনিক এয়ার পিউরিফাইং মেশিনের বিক্রি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
দিল্লি কর্তৃপক্ষ বায়ুদূষণ পরিস্থিতিতে আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের নির্মাণকাজও নিষিদ্ধ করেছে। তবে পরিবহন এবং প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোর কাজ এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দিল্লির ১১টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ছয়টি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: