পর্যটন ও পরিবেশ

বাস বন্ধ তাই বিমানে ছুটছেন মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: লকডাউনে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ ও ট্রেন বন্ধ থাকায় বিমানে ছুটছেন ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষ। এতে বিমানে চাপ বেড়েছে। ইতোমধ্যেই দেশি এয়ারলাইন্সগুলোর ঈদের দুইদিন আগে ও পরের দুই দিনের প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

যাত্রীরা টিকিটের জন্য যোগাযোগ করলেও এয়ারলাইন্সগুলো দিতে পারছে না। কারণ করোনাভাইরাস রোধে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সগুলোকে ৬টি বিমানবন্দরে ১৮টি ফ্লাইট পরিচালনার সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে। তবে এই ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করছে এয়ারলাইন্স ও ট্রাভেল এজেন্সিগুলো।

আরও পড়ুন: করোনার ভারতীয় ধরন ঠেকাতে যশোর বিমানবন্দরে কড়াকড়ি

জানা গেছে, “প্রতিবছর ঈদের আগমুহূর্তে অভ্যন্তরিণ ফ্লাইটের টিকিটের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু এবার একটু বেশি চাহিদা রয়েছে মানুষের। লঞ্চ, ট্রেন ও বাসে গ্রামের বাড়িতে যেতে না পারায় বিমানে যেতে চাচ্ছেন। বিমানে চাপ বাড়ায় এজেন্সিগুলো টিকিটের দাম বৃদ্ধি করেছে। ঢাকা-সৈয়দপুর-বরিশালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম ৮ হাজার ৮শ’ টাকা হলেও ইউএস-বাংলার একটি টিকিটের দাম ৯ হাজার ৫০০ টাকা।

আগামী ১৩ মে ঈদের সম্ভবনা ধরে ঢাকা-বরিশাল-সৈয়দপুর রুটে ১০ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত বিমানের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। যশোরে চারটি, চট্টগ্রামে পাঁচটি, সৈয়দপুরে চারটি, সিলেটে দুটি, বরিশালে একটি, রাজশাহীতে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে প্রতিটি এয়ারলাইন্স।

বিমানে চলাচলে মানুষের চাপ বেড়েছে এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, “করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার মানুষের চলাচল সীমিত করেছে। এরপরও বিশেষপ্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *