নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: রাজধানীতে গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে ই-টিকিট চালু হলেও এখনো বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ যাত্রীদের। টিকিটে সব স্টপেজের নাম ও কিলোমিটার উল্লেখ না থাকায় প্রকৃত ভাড়া থেকে যাচ্ছে আড়ালে।
গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে বিভিন্ন রুটের ৩ হাজার ৩শ’ ৭টি বাসে ই-টিকিটিং চালু করেছে ৫৪টি বাস কোম্পানি।
কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, টিকিটে কিলোমিটার উল্লেখ না থাকায় কতটুকু দূরত্বের জন্য কত ভাড়া নেয়া হচ্ছে সেটি পরিস্কার নয় তাদের কাছে।
যাত্রীরা জানান, টিকিটে যদি কিলোমিটার উল্লেখ করা থাকে এবং ওই অনুযায়ী যদি ভাড়াটা নেয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। মেশিন নষ্ট, পেপার নাই- এরকম বিভিন্ন ধরনের কথা বলে অতিরিক্ত ভাড়া মাঝেমধ্যেই দাবি করে।
টিকিটে নেই সব স্টেশনের নাম ও ভাড়ার পরিমাণও।
এদিকে, অনেক বাসই ভাড়া নিচ্ছে আগের নিয়মে। এজন্য নানা অজুহাত চালক ও কন্ট্রাকটরদের।
নতুন এ সেবার সুফল আনতে চালক-হেলপারদের নির্ধারিত বেতনের পাশাপাশি টিকিটে ভাড়ার পরিমাণের সঙ্গে কিলোমিটার যুক্ত করার পরামর্শ গণপরিবহন বিশেষজ্ঞদের।
পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক বলেন, “টিকিটের যে ব্যবস্থাটা করা হয়েছে এটা পরিকল্পিত হয়নি। ই-টিকিটে মালিকরা লাভবান হবেই।
ই-টিকিটিং কার্যকরে সংশ্লিষ্টদের কঠোর মনিটরিংও চান সবাই।
অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক বলেন, “ভাড়ার রেট এবং স্টেশনগুলোর প্রকৃত অবস্থা বিআরটির রেগুলেটরকে মনিটরিং করতে হবে।”
এসি/আইকেজে
আরো পড়ুন: