কৃষি-মৎস্য

বারোমাসি সিডলেস ও এলাচি লেবু চাষ করে লাখপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: বারোমাসি সিডলেস ও এলাচি জাতের লেবু চাষ করেই লাখপতি। স্বল্প সময়ে অধিক লাভ ও করোনার এই সময়ে লেবুর চাহিদা বাড়ায় দিনাজপুরে এর চাষ বেড়ে চলেছে। চাকরির পেছনে না ছুটে লেবুর বাগান করে অনেকে নিজের ভাগ্য বদলিয়েছেন। অনেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লেবু চাষ করছেন। একই সঙ্গে লেবুর চারা তৈরি করে তা বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তারা। করোনাকালীন সময়ে ব্যাপক চাহিদা, ফলনও বেশি এবং ভালো দাম পাওয়ায় সিডলেস ও এলাচি জাতের বারোমাসি লেবু চাষ করে নিজ পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকা ঘুরিয়ে সবার কাছে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গৌতম দাস। লেবু চাষের পাশাপাশি এখন কলম চারাও বিক্রি করেন।

দিনাজপুর সদরের চকরামপুর বাজার এলাকার গৌতম দাস। তিনি চাকরি করার পাশাপাশি বাড়িতে এই লেবুর বাগান গড়ে তুলেছেন।

গৌতম দাস বলেন, লিচু কিংবা আম বাগান এবং ধানের খেতের চারপাশে বাউন্ডারি দেওয়ার জন্য এই সিডলেস ও এলাচি জাতের বারোমাসি লেবু চাষ করলে অনায়াসে তুলনামূলক কম খরচে অধিক লাভবান হতে পারবে যে কেউ। কেউ ২৪ শতক জমিতে শুধু এই লেবু চাষ করলেই কমপক্ষে খরচ বাদেই বছরে ১ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। এই চাষে ঝামেলা কম। খরচ নাই বললেই চলে। অধিক ফলনের জন্য বছরে তিনবার সার প্রয়োগ করলেই হবে। একবার করলেও চলবে। আর পাতা মুড়ানিসহ রোগ নিরাময়ে মাসে পারলে একবার স্প্রে করলেই হবে। এরপর বছরের সব সময় লেবু বিক্রি করে আয় করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছর আগে এলাচি জাতের ২০টি চারা আমার বাবার বন্ধু এনামুল হকের কাছ থেকে এনে রোপণ করি। পরে আরও ১২০টি চারা আনি। চারাগুলো আলাদা জমিতে নয়। আমাদের ৭২ শতক লিচুর বাগানের চারপাশে বাউন্ডারি বেড়া দেওয়ার মতো করে রোপণ করি। এরপর গত আট মাস আগে সিডলেস জাতের আরেকটি বারোমাসি লেবুর চারা রোপণ করি। গত বছরে ২ লাখ টাকার লেবু বিক্রি করেছি এবং গত রমজান মাসেই ৮০ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করি। বর্তমানে লেবু পাইকারি ১ টাকা থেকে দেড় টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই লেবু চাষে লোকসান নেই বরং সারা বছর লাভবান হওয়া যায়। লেবু ছাড়াও মানুষের মাঝে এর চাহিদা বাড়ায় গত দুই মাস থেকে চারাও বিক্রি শুরু করেছি। বর্তমানে গুটি কলম চারা প্রতিটি ৩০ টাকা এবং লেবুসহ চারা গাছ প্রতিটি ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। গত এক মাসে ১০ হাজার টাকার চারা বিক্রি করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *