অভিমত

বাবুরাম আবুরে কই গেলি বাবুরে, লইয়া আয় ডান্ডা কর চোরারে ঠান্ডা

 খোকন কুমার রায়:

বাবুরাম নামীয় সাহসী লোকটা রহিয়াছে মানুষের চিন্তায়-চেতনায়, বাস্তবে তাহারে খুঁজিয়া পাওয়াটা কঠিন, যে কারণে সমাজে চোরার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাইতেছে।

গ্রামে-গঞ্জে একটা কথা প্রচলিত রহিয়াছে, “চোরে চোরে হালি, এক চোরে বিয়া করে আরেক চোরের শালী“। বৈবাহিক সূত্রে হোক আর স্বার্থের সূত্রে হোক, এই হালি হালি চোরাগুলার সমন্বয়ে গঠিত চোরাবালিতে দেশটা আটকাইয়া রহিয়াছে বহুকাল যাবৎ।

’৭১-এর পরবর্তীতে চোরার যে ক্ষুদ্র খনিটার অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল (যাহার দালিলিক প্রমাণ রহিয়াছে) ক্রমে ক্রমে তাহা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বহুগুণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছে, বর্তমানে যাহার কোনো দালিলিক প্রমাণের প্রয়োজন নাই। জনগণ অতি সহজেই উপলব্ধি করিতে পারেন। এই খনি হইতে চোরাগুলারে উত্তোলন করিয়া গারদে ভরিবার মত সাহসী শ্রমিকও বোধ করি সংখ্যায় কমিয়া গিয়াছে।

কালক্রমে এই চোরারা বড় বড় সিন্ডিকেট বানাইয়া সকল রকমের চুরি অব্যাহত রাখিয়াছে। আর ইহাদের বিরুদ্ধে সাহস করিয়া কিছু বলিতে গেলেও সমূহ বিপদের আশঙ্কা থাকে। তাহা হইলে এই চোরার খনি লইয়া আমরা কী করিব? ইহাদের অপতৎপরতায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হইতেছে। ইহাদের কর্মকান্ড নির্মূল করিবার যুৎসই উপায় খুঁজিয়া লওয়া অতীব দুরুহ কর্ম।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইহাদের প্রতি ব্যাপক অনমনীয় মনোভাব পোষণ করিয়া ইহাদের কঠিন শাস্তি দিবার ঘোষণা করিয়াছেন। অনেক চোরা ধরাও পড়িতেছে, কিন্তু চোরার সংখ্যা যদি ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাইতে থাকে তাহা হইলে ইহাদের লাগাম টানিয়া ধরিবার চ্যালেঞ্জটা কঠিন হইবে।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, ধূমকেতু.কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *