নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: আইয়াং ত্লং বাংলাদেশের একটি পাহাড়চূড়া। বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তে চূড়াটি অবস্থিত। বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার, রেমাক্রি মৌজার, দালিয়ান হেডম্যান পাড়ার, আদিবাসী বম সম্প্রদায়ের ভান রউসাং বম, সর্বপ্রথম এই পাহাড়ের সন্ধান পান।
২০১৯ সালের ১৩ই নভেম্বর, সৌখিন পর্বতারোহী প্রকৌশলী জ্যোতির্ময় ধর, সর্ব প্রথম একজন বাংলাদেশী হিসেবে চূড়াটিতে আরোহণ করেন এবং এর অবস্থান নির্ণয় করেন। তিনি এই চূড়াটির উচ্চতা পরিমাপ করে পান ৩,২৯৮ ফুট। চূড়া জয় করে ফিরে আসার পর দালিয়ান হেডম্যান পাড়ার হেডম্যান “লাল রাম বম”, প্রকৌশলী জ্যোতির্ময় ধরের এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন। নিকটস্থ বিজিবি ক্যাম্পে এই অভিযান রেকর্ড করে রাখা হয়।
প্রকৌশলী জ্যোতির্ময় ধর তাঁর এই পুরো অভিযান এবং সামিট তাঁর প্রিয়তমা ডাঃ রিনি ধরকে উৎসর্গ করেন। এবং তাঁর নাম অনুসারে বাংলা ভাষায় এই নতুন সন্ধান পাওয়া পাহাড়ের নামকরণ করেন “রিনির চূড়া”।
আরও পড়ুন: বাস বন্ধ তাই বিমানে ছুটছেন মানুষ
কেওক্রাডং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নয়। এর চেয়েও উঁচু বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দৈত্যের মতো দাঁড়িয়ে আছে আরও চারটি শৃঙ্গ। তারা যথাক্রমে- সাকা হাফং (৩,৪৭১ ফুট), জো-ত্লং (৩,৩৪৫ ফুট), দুম্লং (৩,৩১০ ফুট) এবং যোগী হাফং (৩,২২২ ফুট)। বাংলাদেশের ৩,০০০ ফুটের এই শৃঙ্গগুলোর বেশিরভাগেরই অবস্থান বান্দরবান জেলার থানচি এবং রুমা এলাকায়।
স্থানীয় অনেকই ওই চূড়া কিংবা পাহাড়টা সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। পথ দুর্গম হওয়ার কারণে ওই চূড়ায় কেউই ওঠে না। শুধু (দালিয়ান পাড়া এবং মুরং পাড়া) থেকে শিকারিরা আসে ওই পাহাড়ের অর্ধেক পথটায়, বাঁদর, সজারু আর ধনেশ পাখি শিকার করার জন্য। মানুষ চিরকাল বৈচিত্র্যের প্রত্যাশী। প্রকৃতি এবং এর বৈচিত্র্যের একটা অদ্ভূত সম্মোহনী শক্তি আছে। বৈচিত্র্যের এই হাতছানিকে অবলোকন করতে যুগ যুগ ধরে মানুষ চালিয়েছে অভিযান –পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।