বানভাসিদের সহায়তায় সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের দুর্ভোগ লাঘবে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত খাবারের।
বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, সিলেটে যে বন্যা হয়েছে তা অকল্পনীয়, স্মরণকালের মধ্যে ভয়াবহ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকানোর ক্ষমতা মানুষ বা সরকারের কারোই নেই। তবে ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। আর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্গত মানুষদের সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন বাহিনীর শতাধিক বোট, হেলিকপ্টার ও অন্যান্য যান উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বন্যাকবলিত সিলেট অঞ্চলে ১ হাজার ২৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ৩০০ মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। গতকাল পর্যন্ত বন্যাকবলিত ১১টি জেলায় ৯০০ টন চাল এবং ৩ কোটি ৩৫ লাখ নগদ টাকা এবং ৫৫ হাজার শুকনা এবং অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার, তা হলো শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির।
পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কথাও বলেছি। আমাদের দলের নেতা-কর্মীরাও সাধ্যমতো দুর্গত মানুষের ঘরে শুকনো এবং রান্না করার খাবার পৌঁছে দিচ্ছে।
বন্যার পানি নেমে গেলে করণীয় কী, তা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে দুই-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে। বন্যার পানি নেমে গেলে বাড়িঘর মেরামত এবং কৃষি পুনর্বাসনের কর্মসূচি হাতে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের নির্দিষ্ট করে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।