নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ঢাকার মঞ্চে ভিন্নধর্মী পরিবেশনার অন্যতম একটি দল ‘বাতিঘর’। ১১ই জুন ছিল দলটির ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দশক পেরিয়ে একাদশে পদার্পন করলো বাতিঘর। প্রতিবছর বাতিঘর তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মঞ্চে নিয়ে আসে নতুন নাটক। এই প্রতিকূল পরিবেশেও হয়নি তার ব্যাতিক্রম। তবে এবার মঞ্চে সম্ভব না হলেও নিজেদের কার্যালয়েই পরিবেশন করলো “টেন মিনিটস থিয়েটার” আঙ্গিকে ৫টি নতুন নাটক। যার নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জয় সরকার মুক্তনীল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বেশিরভাগ নাট্যকর্মীরই প্রাণের ক্ষুধা হলো মঞ্চ। মঞ্চের আঙ্গিনা থেকে দূরে থাকাটা প্রতিটি নাট্যকর্মীর জন্যই বড় কঠিন । সেই প্রতিকূল পরিবেশের কথা ভেবেই নিজের দলের কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে এই ধরনের পরিকল্পনা করা। যেখানে আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি এবং পাশাপাশি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গল্পগুলোকেই একটি রুপ দেবার প্রচেষ্টামাত্র। এই প্রতিকূল সময়েও আমার দলের কর্মীরা এতে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে।”

এ বিষয়ে দলের মূখ্য সম্পাদক খালিদ হাসান রুমি বলেন, “বাতিঘর সবসময়ই প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়েই শিল্পাঙ্গনে দাঁড়িয়ে আছে। যেখানে নাটক মঞ্চস্থের স্থান প্রাপ্তি থেকে শুরু করে সার্বিক সহযোগিতাটাও জড়িত। তবুও থমকে নেই বাতিঘর। তারই একটি বহিঃপ্রকাশ ছিল আমাদের এই ঘরোয়া আয়োজন।”
দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথারীতি মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর উপস্থাপন করা হয় দর্শকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘টেন মিনিটস থিয়েটার’ আঙ্গিকে ৫টি নাটক, যা নিয়ে ভবিষ্যতে বড় পরিকল্পনা রয়েছে। নাটকগুলো হলো- ইঁদুর-বেড়াল, চুপ কথা, মানুষ খুঁজি, আমার আমি এবং নিঃশ্বাসের ভাগিদার।
তারপর তাদের আগামীর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা সভা এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ১০ম বর্ষপূর্তির আয়োজন।