শৈশব-কৈশোর

বাচ্চাকে শেখানো উচিত নৈতিক শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: যান্ত্রিক শহরে মা-বাবার কর্মব্যস্ততায় বাচ্চারা একা একা বড় হয়। সারাদিন অফিসে থাকায় বাড়ি ফিরে সবাই বাচ্চাদের অনেক বেশি আদর করেন। এবং এটাই স্বাভাবিক। যখন যা চায় তখন তা পেয়ে যায়। শাসন বলতে কী, তা তাদের তেমন বুঝতে হয় না।

আবার অনেক বাচ্চাই দাদা-দাদী বা নানা-নানীর কাছে বড় হয়। ফলে আদরে বাদর হতে খুব বেশি সময় লাগে না। ছোট বয়সে সব ঠিকঠাক থাকলেও, সমস্যাটা বাড়তে শুরু করে বয়স একটু বাড়ার পর। বাচ্চা যখন বিগড়ে যেতে শুরু করে, তখন বাড়ির লোক বুঝেন এতোদিন কী ভুলটাই না করেছেন।

আপনারাও যদি এমনটা করে থাকেন তাহলে এখনি তা বন্ধ করুন। বাচ্চাকে সঠিকভাবে মানুষ করাটা খুব বেশি দরকার। এ জন্য আবার কারণে-অকারণে অযথা শাসন করাটাও উচিত না। অন্যের সাথে ব্যবহারে কীভাবে সৌন্দর্য প্রকাশ পায় সেটা শেখান। আজকাল অনেক মা-বাবারা আদরে-আদরে বাচ্চাদের ভদ্রতা ও নৈতিক শিক্ষা শেখাতে ভুলে যান।

১. বাচ্চাকে তার সমবয়সী বাচ্চাদের সাথে মিশতে দিন। অন্যের সঙ্গে সাক্ষাত করতে শেখান। একা একা বড় করবেন না। একা একা বড় হলে তার মধ্যে অনেক বেশি দ্বিধা, লজ্জা কাজ করবে যখন কারো সাথে কথা বলতে যাবে। এটা দূর করানো অভিভাবকের কাজ। তা না হলে সে সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে। কারো সাথে দেখা হলে, কীভাবে কথা শুরু করবে সেই শিক্ষা সন্তানকে দিন। বাদ বাকিটা সে নিজেই ধীরে ধীরে শিখে যাবে।

২. অন্যকে ধন্যবাদ বলতে হয়, এটা শেখাতে হবে বাচ্চাকে। কেউ কিছু উপহার দিলে, বা কোনো কিছু সাহায্য করলে ধন্যবাদ বলতে বলুন। এই ভদ্রতা ছোট থেকে শেখা খুবই দরকার।

৩. আজকাল বড়-ছোট সবারই মোবাইল ফোন থাকে। বাচ্চাদের হাতেও ছোট থেকেই মোবাইল রয়েছে। কর্মজীবী মা-বাবারা সন্তানের খোঁজখবর নিতে ছোট থেকেই মোবাইলে অভ্যস্ত করে তোলেন বাচ্চাদের। তাই ফোনে কীভাবে কথা বলতে হয় বাচ্চাকে শেখান। কেউ ফোন করলে কেমন করে উত্তর দিতে হবে কিংবা নিজে থেকে কোথাও ফোন করলে কীভাবে কোন ভাবে কথা বলতে হবে, শিক্ষা দিন।

৪. অন্যেকে মূল্যায়ন করতে শেখান। অপরের কথা শুনতে শেখান। অনেক বাচ্চাই প্রচুর কথা বলে, অন্যের কথা শুনতেই চায় না। সব সময় আলাপচারিতা যেন দুজনের সমান সমান হয় বা ভারসাম্য থাকে, সে শিক্ষা দিন।

৫. করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে মাসে দুই-একবার বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে গেট টুগেদারের আয়োজন করুন। এটা বাসায় করলেই ভালো। অনেকে রেষ্টুরেন্টে করতে পছন্দ করেন। কিন্তু এতে সংক্রমণের ভয়টা থেকে যায়। ছোটবড় সবার সাথে মিশলে আপনার বাচ্চা সঠিক ব্যবহার শিখতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *