ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের প্রায় ১৭ হাজার ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা বাগেরহাটে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বুধবার দুপুরে বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে এই টিকা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে ওই টিকা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের ইপিআই সেন্টারে সংরক্ষণ করা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার চিঠি হাতে পেলে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন।
চীনের উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ টিকার মধ্যে প্রথমে ৫ লাখ দেওয়া হবে; বাকি টিকা দ্বিতীয় ডোজের জন্য রেখে দেওয়া হবে। যারা টিকার জন্য আগে নিবন্ধন করেছেন, কিন্তু এখনও পাননি, তাদের ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে’ এবার টিকা দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে দেশে গণটিকাদান শুরু হয়। সেখান থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও মার্চ থেকে টিকা রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারত। ফলে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা হাতে পেয়েছে।
পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার মত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও সরকারের হাতে নেই।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বাগেরহাটে দুই ধাপে ৯৯ হাজার ডোজ টিকা বরাদ্দ পায় স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই সময়ে বাগেরহাটে ৯১ হাজার ৪৭১ জন টিকার জন্য নিবন্ধন করে। নারী পুরুষ মিলিয়ে ৯৫ হাজার ৪৯০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। বাকি টিকা দেওয়া হয় জেলার বাইরে থেকে আসা নিববন্ধনকারীদের।
৭ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাটে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়ে তা চলে ২২ মে পর্যন্ত।
সিভিল সার্জন বলেন, “বুধবার দুপুরে সিনোর্ফামের ১৬ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা বুঝে পেয়েছি। তা ইপিআই সেন্টারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার চিঠি হাতে পেলে খুব শিগগির টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।”
আট হাজার ৪০০ জনকে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া যাবে বলে সিভিল সার্জন জানান।