শিল্প ও বাণিজ্য

বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরে ১০ বছরে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর থেকে ৬১ কোটি ১৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড।

সূত্র জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তার চেয়ে ৮৩ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।

স্থল বন্দরের সহকারী কাস্টমস কমিশনার (এসি) মবিন উল ইসলাম বলেন, এই স্থল বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি হয় বেশি। গত অর্থবছরে ১৩১ কোটি টাকার চাল আমদানি হওয়ায় শুধু এর বিপরীতেই ৩০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। ফলে করোনা পরিস্থিতিতে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও রাজস্ব আদায়ের এই সফলতা এসেছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরে গত ১০ বছরের মধ্যে ২০১১-১২ অর্থবছরে সর্বনিম্ন সাত কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ছয় কোটি টাকা। এরপর ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৩ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৬ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২৯ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৫ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৮ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৫ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৫ কোটি টাকা এবং সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর পার্শ্ববর্তী তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম প্রবেশদ্বার। এই তিন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য স্থল বন্দরটির গুরুত্ব বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নাসিমুল হাসান বলেন, পর্যাপ্ত ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড ও শেড নির্মাণ করা হলে এই বন্দর আরও সচল হবে এবং সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়বে।

তিনি বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় এবং এখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করায় নতুন নতুন ব্যবসায়ীরাও এটি ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

বন্দরের জায়গা সম্প্রসারণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা হলে এবং ভারত থেকে ২২টি পণ্য আমদানির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *