ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: প্রতি বছরই স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তুরস্কে যান। বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে এই সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে, তুরস্কে পড়ালেখার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা তুর্কি ভাষা বলে জানান সেখানকার শিক্ষার্থীরা।
সারা বিশ্ব থেকে প্রতি বছর ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেয় তুরস্ক সরকার। বাংলাদেশ থেকে এই স্কলারশিপের সুযোগ খুব বেশি শিক্ষার্থী না নিলেও সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এ বছরে ৪৭ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে পড়ালেখা করতে গেছেন।
জানা গেছে, ব্যবসা শিক্ষা, বিজ্ঞান শিক্ষায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ছাড়াও গবেষণায় উচ্চতর ডিগ্রি নিতে তুরস্কের প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ইস্তাম্বুলের নাম করা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ইয়েলডিজ টেকনিক ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করতে এসে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন একমাত্র বাংলাদেশি ড. শাহেন শাহ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করার সুযোগ বাড়ছে। ব্যাচেলদের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশে তুর্কি অ্যাম্বাসিতে একটা পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার মাধ্যমে তারা নির্বাচন করে। মাস্টার্স ও পিএইচডির ক্ষেত্রে অ্যাম্বাসিতে ইন্টারভিউ হয়। সেখান থেকে তারা বাছাই করে। আর টপ র্যাংকিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে হলে জিআরই, জিম্যাট বা ইংলিশে পড়তে গেলে টোফেল লাগে।
তবে যেসব বাংলাদেশি ছেলেমেয়ে পড়ালেকা করতে যাচ্ছে তাদের মতে, তুরস্কে পড়ালেখার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ভাষাগত দক্ষতা।
তারা বলছেন, এসএসসি ও এইচএসসি দুইটাতেই জিপিএ ৫ লাগবে। এছাড়া একজন শিক্ষার্থী হিসেবে কোন কোন বিষয়ে সে পারদর্শী, সে বিষয়গুলো দেখা হয়। আর এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশিরভাগ বিষয়েই তুর্কি ভাষায়। এটা আমাদের জন্য একটা প্রথম প্রতিবন্ধকতা। কারণ ভাষাটা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি আলাদা।
পড়ালেখায় পাশাপাশি যারা চাকরি বা ব্যবসা করছেন তারাও জানালেন একই অভিজ্ঞতার কথা।
শতভাগ স্কলারশিপ পেলে পুরো কোর্সের সব খরচ বহন করবে তুরস্ক সরকার। আর ব্যক্তিগত খরচে পড়ালেখা করলে তা ইউরোপের অন্য দেশের তুলনায় কম।
আরো পড়ুন:
জেলখানা এখন তথ্য-প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র