আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশিদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল জাপান

করোনাভাইরাসের বিস্তারের লাগাম টানতে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের ওপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাপান। গত জুনে ছয়টি দেশের ওপর যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
স্থানীয় দৈনিক জাপান টাইমস বলেছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে জাপানে পৌঁছানোর ১৪ দিন আগে বাংলাদেশসহ ওই ছয় দেশে সময় কাটিয়েছেন এমন বিদেশি পর্যটকদের জাপানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। সরকার এখন এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যে ছয়টি দেশের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে সেসব দেশ হলো: বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। এই ছয় দেশের নাগরিকদের মধ্যে যারা টিকা নিয়েছিলেন এবং এমনকি জাপানে বসবাসের বৈধ স্ট্যাটাসও রয়েছে; তাদেরও জাপানে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
জাপানের কোয়ারেন্টাইন নীতিমালায় বড় ধরনের সংশোধন আনায় ওই ছয় দেশের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটছে। কোয়ারেন্টাইন বিধি-নিষেধে পরিবর্তন আসায় করোনাভাইরাসের বিস্তার, বিশেষ করে অতিসংক্রামক ধরনকে ঠেকাতে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের পর্যটকদের এখন জাপানে পৌঁছানোর পর সরকারি স্থাপনায় তিন দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে।
দেশটিতে প্রবেশের পর একবার করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি তিন দিনের বাধ্যতামূলক স্বেচ্ছা আইসোলেশন শেষেও শেষ দিনে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে।


যেসব দেশের জন্য এই বিধি-নিষেধ


বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, ব্রাজিল, ব্রিটেন, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, কিউবা, ডেনমার্ক, ডোমিনিকা, ইকুয়েডর, জর্জিয়া, গ্রিস, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মোজাম্বিক, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, প্যারাগুয়ে, পেরু, ফিলিপাইন, পর্তুগাল, রাশিয়া, সিচেলস, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, শ্রীলঙ্কা, সুরিনাম, তানজানিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উরুগুয়ে, উজবেকিস্তান, ভেনেজুয়েলা এবং জাম্বিয়া।
এছাড়াও অন্যান্য দেশ ও অঞ্চলের ভ্রমণকারীদেরও জাপানে প্রবেশের পর স্বেচ্ছা আইসোলেশনে থাকতে হবে। সংশোধিত নীতিমালার আওতায়, দেশটির সরকার প্রত্যেকটি দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমণের সংখ্যা, ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারের ঝুঁকি এবং দেশগুলোর কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে ভ্রমণ ঝুঁকির বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করেছে।
প্রয়োজনে আরও কঠোর কোয়ারেন্টাইন বিধি যেমন— সরকারি স্থাপনায় ছয় থেকে ১০ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন এবং করোনাভাইরাসের অতিরিক্ত পরীক্ষার শর্ত আরোপ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। ওই সব দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হলে এ ধরনের বিধি-নিষেধ আবারও চালু করা হতে পারে।  সূত্র: জাপান টাইমস।

/জেড এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *