শিল্প ও বাণিজ্য

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে: এডিবির পূর্বাভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: মহামারী করোনার মধ্যেও বাংলাদেশে রপ্তানির গতি বাড়ায় মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিও দ্রুত বাড়বে বলে মনে করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। আজ বুধবার প্রকাশিত এডিবির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টে বলা হয়েছে, “সরকারের দেওয়া প্রণোদনার সুফল মেলার পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬.৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেতে পারে।” 

“আর বিশ্ব অর্থনীতির টেকসই পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানির গতি বাড়লে আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৭.২ শতাংশ হতে পারে বলে প্রাক্কলন করেছে এডিবি।”

প্রতিবেদনে বলা হয়, “রেমিটেন্সের শক্তিশালী প্রবাহ অব্যাহত থাকায় ব্যক্তিখাতে ভোগব্যয় বাড়বে। বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশের উন্নতি হলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগেও গতি আসবে।”

চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও মহামারীর বাস্তবতায় পরে তা ৭.৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

মহামারীর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসে, যা আগের অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ ছিল।

বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও ধীরে ধীরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির শক্তিশালী ধারায় ফিরবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “অঞ্চল হিসেবে এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া হবে সবচেয়ে দ্রুত। ২০২০ সালে যেখানে এ অঞ্চলের অর্থনীতি ৬ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়ে গিয়েছিল, এবার তা ৯.৫ শতাংশ হারে বাড়বে।”

এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দেশ ভারত যদিও মহামারীতে নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তারপরও এ বছর সেখানে ১১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে এডিবি। গতবছর ভারতের অর্থনীতি ৮ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছিল।  

এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুকি সোয়াদা বলেন, “ভারত যে গতিতে টিকাদান চালিয়ে নিচ্ছে, তাতে অগাস্টের মধ্যে সেখানে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে ২০২২ সালেই হয়ত ভারত ‘হার্ড ইমিউনিটিতে’ পৌঁছে যাবে। 

এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঘুরে দাঁড়ানোর গতি যতটা হবে বলে আগে ভাবা হয়েছিল, এ বছর তার চেয়ে বেশি হবে বলেই এডিবির ধারণা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *