ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিং নিলো জিম্বাবুয়ে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দেড়শো ছাড়ানো ইনিংস খেললেও জয়ের মুখ তারা দেখেনি। সমতায় ফিরতে এবার ১৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করেছে ১৬৬ রান।
শুরু থেকে বাংলাদেশি বোলারদের সামনে সেভাবে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়নি স্বাগতিকদের। বরং তারা পাওয়ার প্লের ফায়দা লুটে নেয় ভালোভাবে। তবে সব কিছুই সম্ভব হয় ওয়েসলি মেধেভেরের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে।
এক প্রান্তে ওয়েসলি মেধেভেরে আক্রমণ শাণালেও আরেক ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি ছিলেন বাক্সবন্দি। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই তাকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান। বোল্ড করেন মারুমানিকে (৩)। তাতেও অবশ্য স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ড থেমে থাকেনি। মেধেভেরের কল্যাণে ছুটতে থাকে রানের চাকা। সঙ্গী রেজিস চাকাভা সৌভাগ্য ক্রমে ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেও সাকিব আল হাসানের পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আর শেষ রক্ষা হয়নি তার। এবার তার ক্যাচ ঠিকই লুফে নেন শরিফুল ইসলাম। চাকাভা ফেরেন ১৪ রানে।
এর পর রান আউটের সুবর্ণ সুযোগ মিস করে বাংলাদেশ। তাসকিনের ১০.২ ওভারে মায়ার্স রান নিতে গিয়ে একটু দেরি করে ফেললে তাকে আউটের সুযোগ ছিল নাইমের। কিন্তু তার থ্রো স্টাম্পে আঘাত হানতে পারেনি। সেটি হলে জিম্বাবুয়ের রাশ টেনে ধরার সুযোগ ছিল। তা না হওয়াতে মায়ার্স-মেধেভেরে মিলে শতরান পার করেন জিম্বাবুয়ের। পরে এই জুটিতেই উঠেছে সর্বোচ্চ ৫৭ রান! এই সময় দ্রুত গতিতে ব্যাট চালিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন মেধেভেরে।
অবশেষে ১৪তম ওভারে আগ্রাসী এই জুটি ভাঙে মায়ার্সের বিদায়ে। শরিফুলের শর্ট লেংথের বল আলতো টোকায় অফসাইডে উঠিয়ে দিয়েছিলেন। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়াতে তার ক্যাচ সহজেই লুফে নেন মেহেদী হাসান। ২১ বলে মায়ার্স ফেরেন ২৬ রানে। ১৬তম ওভারে অবশ্য রান আউটে আর ভুল করেনি বাংলাদেশ। সাকিবের বলে রান নিতে গিয়ে রান আউটে ফেরেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (৪)।
শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করা মেধেভেরে ফেরেন ১৮তম ওভারে। শরিফুলের বলে ঠিকমতো ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি। বল উঠে গেলে তা লুফে নেন আফিফ হোসেন। জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করা এই ব্যাটসম্যান ৫৭ বলে ফেরেন ৭৩ রানে। তাতে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়। তিনি টিকে থাকলে স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ড আরও ফুলে-ফেঁপে ওঠার সম্ভাবনা ছিল। তার পরেও রায়ান বার্ল কিছুটা দায়িত্বশীল হওয়ায় স্কোরবোর্ডটা চ্যালেঞ্জিং হয়েছে জিম্বাবুয়ের। বার্ল ১৯ বলে দুটি চার ও দুই ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। শরিফুল শেষ বলে জংউইর উইকেট নেওয়ায় ৬ উইকেটে ১৬৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ে।
৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে সেরা বোলার শরিফুল ইসলাম। নিয়েছেন ৩ উইকেট। একটি করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান।