‘বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এসডিজি অগ্রগতির জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতিসংঘে পুরস্কারপ্রাপ্তি এবং সারা দুনিয়ায় উন্নয়ন-অর্জনের জন্য যখন প্রশংসিত হচ্ছে, তখন বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বলা হাস্যকর।
রোববার (৭ নভেম্বর) বাসভবনে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ পরিচালনায় নতজানু হওয়ার নজির আওয়ামী লীগের নেই। নতজানু হওয়ার নজির রয়েছে বিএনপির। কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে নালিশ আর প্রকাশ্যে বিভিন্ন দূতাবাসের কাছে সাহায্য চাওয়া- বিএনপির মেরুদন্ডহীন রাজনীতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, বিএনপির কাছে দেশ নিরাপদ নয়, তাদের রাজনীতি দূরনিয়ন্ত্রিত। আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণ দ্বারা চালিত। জনমতের প্রতিফলন।
‘দেশের সব মেগা প্রকল্প ঋণ নির্ভর,’ বিএনপি নেতাদের এমন মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিত্তোরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির দিনরাত মিথ্যাচারের জবাব দিতে ইচ্ছে না হলেও দু’একটি কথা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের বলতে হয়, কারণ তারা না জানলেও দেশের মানুষ জানে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মাসেতু নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে সরকার।
তিনি বলেন, আসলে তারা পদ্মাসেতু নির্মাণ বন্ধের ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিল, তারা চায়নি এদেশে মেগা প্রকল্প হোক। বিএনপির রাজনীতি উন্নয়ন – বিমূখ এবং প্রতিহিংসামূখর। তারা উন্নয়ন চায় না, তারা চায় দেশ স্থবির হয়ে থাকুক। বিএনপি চায় সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক।
৭ নভেম্বর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বরের হত্যাযজ্ঞের ওপর ভর করে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেন। সৈনিকদের ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের রক্তের ওপর দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় প্রত্যাবর্তনের ভিত্তি রচনা করেন জিয়াউর রহমান। একই সঙ্গে এই রাতের দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িতদের পদায়ন করেন বিভিন্ন স্থানে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানিদের নিষ্ঠুরভাবে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার প্রক্রিয়াও রুদ্ধ করে দেয় জিয়া। এই জন্যই ৭ নভেম্বর রাজনৈতিক রং দিয়ে জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় জিয়াউর রহমানের নির্দেশ।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে বিএনপি – জামায়াত জোট নিয়মিত এই দিনটিকে উদযাপন করে আসছে, অথচ এটি বাঙালি জাতির ইতিহাসের একটি কলঙ্কময় দিন, শোকের দিন, কান্নার দিন।