নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: চলতি মাসেই শেষ হতে পারে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন, সেচ ও ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ। প্রায় ১৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি শেষ হলে বন্যা ও ভাঙনের হাত থেকে মুক্তি পাবেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ।
কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদী। বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে উৎপত্তি হয়ে আঁকাবাঁকা পথে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলে মিশেছে নদীটি। কিন্তু দীর্ঘদিন পাহাড়ি ঝরনার পলি পড়ে নদীর নাব্য হ্রাস পায়। এতে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বন্যাকবলিত হয়ে কৃষি জমি ও মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
তবে এখন বাঁকখালী নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে খনন করে নাব্য ফিরে আনার পাশাপাশি চলছে বাঁধ নির্মাণ। এতে দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা নদীর দু’পাড়ের মানুষের।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষাকালে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ পরিবার পানিতে নিমজ্জিত থাকত। এখন বেড়িবাঁধ হওয়ায় আমরা ভালোই আছি।
কক্সবাজার রামু চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সৈয়দ নুর বলেন, চলমান কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে না পারলে বর্ষায় সবকিছু ভেস্তে যাবে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মাঝেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। আশা করি, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া নদীর সাড়ে ২৮ কিলোমিটার কাজ শেষ হলে কক্সবাজার সদর-রামু উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লাখ মানুষ বন্যা থেকে রক্ষা পাবে।