ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: ধৈর্য, সমঝোতা আর প্রশান্তি, এই তিনটি শব্দই টোকিওভিত্তিক ‘আলট্রা-টেকনোলজিস্টস’ টিম ল্যাবের মূলমন্ত্র। দর্শণার্থীদের আকৃষ্ট করতে নতুন শিল্পকর্ম বানিয়েছে তারা। আর সেই শিল্পকর্মটি অর্কিড ফুলকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে, যার শিরোনাম হচ্ছে ‘ভাসমান ফুলের বাগান’। যে ফুলের বাগানে প্রবেশ করার পর যে কারোরই মনে হবে, আমার আর ফুলের উৎস এক, আমি আর বাগান একই।

ফুলের ইলাস্ট্রেশন, এলইডিতে সক্রিয়, এমনকি সাউন্ডস্কেপ আর প্রজেকশনের ধরন দেখে এই বাগান সবার কাছে প্রযুক্তির মাধ্যমে করা মনে হলেও এটি আসলে প্রকৃতির সংমিশ্রণে তৈরি। ডিজিটালের চেয়ে অতি প্রাকৃতিক মনে হয় এই বাগান, যা দর্শণার্থীদের সম্মোহিত করছে। গ্রীষ্মে প্রদর্শিত এই শিল্পকর্ম বানানো হয়েছে সংগৃহীত ১৩ হাজার অর্কিড প্রাকৃতিক গাছ দিয়ে। সেলিংয়ের সঙ্গে অদৃশ্য তারে ঝোলানো গাছগুলো কাছ থেকে দৃশ্যমান হলেও সেগুলো বাতাসের সঙ্গে দোল খায় বলে মনে হয়।

একবার আপনি অর্কিডের পর্দার কাছে দাঁড়ালে সেখান থেকেই শুরু হয় টিম ল্যাবের জাদু। সেন্সরের মাধ্যমে ফুলগুলো ধীরে ধীরে উপরে উঠতে থাকবে যখন আপনি ভেতরে প্রবেশ করবেন। সেগুলো আবার সামনে পেছনে সরবে আপনার ঘোরাফেরার সঙ্গে সঙ্গে।

টিম ল্যাবের যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক তাকেশি কুডো বলেন, আমরা প্রাকৃতিক অর্কিডই প্রদর্শন করি, তবে এর পেছনে প্রচুর পরিমাণে প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা মূল আইডিয়া পরিবর্তন করিনি এখনও। তবে আমাদের ইলাস্ট্রেশন দেখানোর জন্যই আমরা দর্শণার্থীদের টানার চেষ্টা করছি।

শিল্পকর্মটি পুরোপুরি ফুল দিয়ে করা, যখন ফুলগুলো স্পেসে ভাসানো হয় এটি অন্যরকম অনুভূতি প্রকাশ করবে। নিজেকে অন্যরকম ভাবে আবিষ্কার করবে যে কেউ। বাগানটি মানুষকে আলাদাভাবে ভাবার মতো করেই বানানো হয়েছে। তারা ধীরে ধীরে চলবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনুভূতিগুলোর পরিবর্তন ঘটবে, বলেন কুডো।

টোকিওর জাদুঘরে টিম ল্যাবের প্ল্যানেটে প্রদর্শিত হচ্ছে এই ভাসমান ফুলের বাগান। ২০২০ সালের শেষ সময় পর্যন্ত চালু থাকবে এই শিল্পকর্মের প্রদর্শন।

আপনি যদি অর্কিড দেখে থাকেন তাহলে বুঝবেন, এটির বিভিন্ন রং রয়েছে, অনেক ধরনও রয়েছে। তারা মাটি ছাড়াই বেঁচে থাকে এবং আমরা তাদের কাছ থেকে, এমনকি অন্য উদ্ভিদের কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখতে পারি। মানব জাতির চেয়েও বৈচিত্র্যময় তাদের জীবনও।

আরো পড়ুন:

মেয়ে হওয়ার খুশিতে ৫০ হাজার টাকার ফুচকা খাওয়ালেন বাবা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *