আইন আদালত

বয়স জালিয়াতি করে বায়তুল মোকাররমে ইমামতির অভিযোগ, নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

বয়স জালিয়াতি করে ইমামতির অভিযোগ উঠেছে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিযোগটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন। আদালত ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস বাদল।
আইনজীবী আব্দুল কুদ্দুস বাদল বলেন, ‘২০১২ সালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন মিজানুর রহমান। বর্তমানে সিনিয়র পেশ ইমামের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত খতিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সরকারের অডিট বিভাগের এক প্রতিবেদনে জাতীয় মসজিদের এ ভারপ্রাপ্ত খতিবের বিরুদ্ধে বয়স জালিয়াতি করে ইমাম পদে নিয়োগ পাওয়ার তথ্য উঠে আসে।’
অডিট বিভাগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালে যে আবেদনে জাতীয় মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান মিজানুর রহমান, সেখানে তাঁর জন্ম সাল লেখা ১৬ মে ১৯৭৭। অথচ সব সার্টিফিকেটে তাঁর জন্মসাল ১৬ মে ১৯৭৪ রয়েছে। বয়স তিন বছর কমানোয় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে নিরীক্ষা অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ২০১২ সাল থেকে নেওয়া সব বেতন ও ভাতা ফেরত দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।
ওই নিয়োগের অস্বচ্ছতা নিয়ে ২০১৬ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক। তিনি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করেন।
বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে। কিন্তু, তদন্তে আগ্রহ না দেখিয়ে পাঁচ বছর ফেলে রাখা হয় আবেদনটি।
এর আগে গত মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক। রিটের শুনানি শেষে পেশ ইমাম মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

/জেড এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *