প্রচ্ছদ

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীতে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ

ধূমকেতু ডেস্ক : দিন দিন দৃশ্যমান হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ইকোনমিক জোন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর’।

দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষ করতে বঙ্গোপসাগরের মহিসোপানে জেগে ওঠা বিশাল এ চরে চলছে কর্মযজ্ঞ। আগামী ডিসেম্বর মাসে এই শিল্পনগরের একটি কারখানা উৎপাদনে যাবে।

এ শিল্পনগরের প্রথম ধাপে ১৫ হাজার একর ভূমির উন্নয়ন কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) কর্তৃপক্ষ। এ শিল্পনগরের কাজ শেষ হলে কর্মসংস্থান হবে ৩০ লাখ মানুষের।

মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, এ অর্থনৈতিক অঞ্চল পুরোদমে চালু হলে চট্টগ্রাম তথা পুরো বাংলাদেশের চেহারাই পাল্টে যাবে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।

মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল এখন দৃশ্যমান। খুব তাড়াতাড়ি এটির প্রথম ধাপের কাজ শেষ হবে।
বেজা’র চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী জানান, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি অনেক উদ্যোক্তা বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন চীন, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তারা।
ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে ভূমি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বের ভূমি দ্রুত প্রস্তুত হচ্ছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়- চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া বাজারে এক সময়ের পরিত্যক্ত বিরাণভূমিতে গড়ে উঠছে শিল্পনগর।

বেজার তত্ত্বাবধানে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, সীতাকু অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ফেনী অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঘিরেই গড়ে উঠবে দেশের বৃহৎ শিল্পনগর।

বৃহৎ এ শিল্পনগরকে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে জেগে ওঠা মিরসরাইয়ের ১৫ হাজার একর জমিতে ভূমি উন্নয়নের কাজ চলছে বিরামহীন ভাবে।

ইতিমধ্যে অবকাঠামো নির্মাণের মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে দেশের সর্ববৃহত এ শিল্পনগর।

চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রথম শিল্প কারখানা হিসেবে আরমান হক ডেনিম লিমিটেডে উৎপাদনে যাবে। এরই মধ্যে কারখানাটির নির্মাণ কাজের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে।

আরমান হক ডেনিম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এন আর তৌফিক জানান, আগামী ডিসেম্বরে কারখানায় উৎপাদন কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করেছি।

এ কারখানায় বছরে ১০.৮ মিলিয়ন মিটার ডেনিম কাপড় তৈরি হবে। ইউরোপীয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম কাপড়ের বাড়তি চাহিদা মেটাতে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এ কারখানাটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৯ কিলোমিটার আর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৭৯ কিলোমিটার এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অদূরে হওয়ায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি।

বেজা’র উদ্যোগে সড়ক, গ্যাস, বিদ্যুতের দ্রুত ব্যবস্থার কারণে বিনিয়োগের সর্বোউপযোগী ও অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘেঁষে বঙ্গোপসাগর উপকূলে সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা থাকার কারণে এটির গুরুত্ব বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের কাছে।

এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলো। এরই মধ্যে ৮৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বেজা’র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *