অভিমত

বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের পক্ষে আপোষহীন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ || প্রতিষ্ঠার চতুর্থ বছরে পদার্পণ


তাপস হালদার :

৭ জুলাই, ২০১৮ সাল, জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের ইসলামের বাণী ‘গাহি সাম্যের গান’-কে ধারণ করে বিভিন্ন পেশাজীবীদের সমন্বয়ে যাত্রা শুরু করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধর্ম, বর্ণের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থাকলেও সম্ভবত সকল ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী, পেশার সমন্বয়ে এটাই প্রথম সংগঠন।

সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য পেশ করেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন ইমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ইমিরেটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মহাসচিব সাংবাদিক হারুন হাবীব, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক শামীম মো. আফজাল, রামকৃষ্ণ মিশনের সহ-সম্পাদক স্বামী গুরু সেবানন্দ, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা শুদ্ধানন্দ মহাথেরো, খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, ইসকনের প্রতিনিধি সুখীল দাস-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের সুধীজন। অনুষ্ঠানের বিদগ্ধ জনদের উপস্থিতিই প্রমাণ করে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা।

উপস্থিত সকলে মিলে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বিভাজনমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। সে সঙ্গে দেশের সকল ধর্মের মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার উদাত্ত আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের আহ্বায়ক বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) দুজনই একই সুরে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান চেতনা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র দিকে আমরা ফিরে যেতে চাই। তাহলে আমরা ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ, শোষণহীন বাংলাদেশ ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। সাম্প্রদায়িক শক্তির কোনো আঘাত আসলে সেটা প্রতিহত করতেও নতুন এই সংগঠন সদা প্রস্তুত থাকবে।

‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকল ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণী-পেশার মানুষদের একত্রে কাজ করার এটি একটি প্লাটফর্ম। এ সংগঠনে ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী-পেশার মানুষদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর প্রতিষ্ঠিত সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি সংগঠন। অন্য সংগঠনগুলো থেকে এখানেই এই সংগঠনটির স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য।

বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ১৮ কোটি জনসংখ্যার বিশাল দেশে বিভিন্ন ধর্মের লোক বসবাস করে। জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান হলেও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ অন্যান্য ধর্ম, বর্ণের লোক বাস করে। ধর্ম ও বর্ণের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশে তাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিঘ্নিত হয়নি। বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে বিভিন্ন ধর্মের লোকদের সমান নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করার অধিকার রয়েছে।’ বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ (১) অনুচ্ছেদে আরো বলা আছে,‘রাষ্ট্র কখনোই তার নাগরিকদের মধ্যে ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ ও জন্মস্থান ভেদে কোনো প্রকার বৈষম্য করবে না’।

স্বাধীনতার পর অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ধর্ম ও সম্প্রদায়ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেন। তিনি মনে করতেন সংবিধানের মূল স্তম্ভ যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা, সেখানে এই জাতীয় সাম্প্রদায়িক দলের অস্তিত্ব থাকতে পারে না। কিন্তু ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সামনে নিয়ে আসে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী সামরিক শাসকরা। ধর্ম ব্যবসায়ী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রাজনীতিতে পুনর্বহাল করে। জিয়াউর রহমান ও এরশাদের আমলে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাদ, রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা ও স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় বসিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই ধ্বংস করে দেয়। শুরু হয় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতন।

সামরিক শাসক ও তাদের প্রেতাত্মা বিএনপি সরকারের রাষ্ট্রীয় মদতে দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা চালানো হয় ১৯৮৯-১৯৯২ সাল পর্যন্ত। আবার ২০০১ সালের নির্বাচনের পর ধর্মীয় সংখ্যালঘু সস্প্রদায়ের ওপর এমন নিপীড়ন চালায় যে, তাদের অনেকেই দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু সেই অবস্থা আজ আর নেই। এখন আর রাষ্ট্রীয়ভাবে মৌলবাদী শক্তিকে ইন্ধন দেয়া হয় না। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা এদেরকে কঠোর হস্তে দমন করেছেন। কিন্তু উগ্রবাদীরা এখনও ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে। মাঝে মাঝে ধর্মীয় ইস্যু তৈরি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করে থাকে, হয়তো সরকারের কঠোর মনোভাবের কারণে তারা সফল হয় না।

মধ্যযুগের কবি চণ্ডীদাস বলেছেন, ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’ মানুষ মানুষে কোনো পার্থক্য বা ভেদাভেদ থাকতে পারে না। কিন্তু মৌলবাদীরা তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ধর্মে ধর্মে বিভেদ তৈরি করে সহজ সরল শান্তিপ্রিয় মানুষের মধ্যে অশান্তির বীজ ঢুকিয়ে দেয়। মৌলবাদীরা সংকীর্ণ স্বার্থের কারণে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর সংঘর্ষ আর রক্তক্ষয়ী হানাহানিতে মেতে উঠে। ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় ভিত্তিক ভেদাভেদ ও সংঘাতই হলো সাম্প্রদায়িকতা। সম্প্রীতি বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িকতাকে পরিহার করে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করতে কাজ করে যাচ্ছে।

বৈশ্বিক করোনার সময়কালে সমগ্র পৃথিবীতেই একপ্রকার স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে। বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে সরাসরি মানুষের জমায়েত করে কোনো প্রকার প্রোগ্রাম করার সুযোগ নেই। শারীরিক দূরত্ব মেনে মানুষকে চলতে হয়। সঙ্গত কারণেই সম্প্রীতি বাংলাদেশও জনগণকে সাথে নিয়ে সরাসরি কোনো প্রোগ্রাম করতে পারেনি কিন্তু তাই বলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছেন সেই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে করোনা মহামারীর পুরোটা সময় ধরে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করে যাচ্ছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার শুরুর দিকেই ৮৭ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। সে সেবাটি এখনও চলমান আছে। মানুষ যখন লকডাউনে ঘর থেকে বের হতে পারে না, তখন ঘরে বসে বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে প্রতি সপ্তাহে টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে পরামর্শ দেয়া হয়।

করোনাকালে সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর অনুষ্ঠান হলো ‘সম্প্রীতি সংলাপ’। প্রতি শনিবার রাত ৯টায় (যদিও এখন শুক্রবার) সরাসরি সম্প্রীতি বাংলাদেশের ফেইসবুক পেজে লাইভ সম্প্রচারিত হয়ে থাকে অনুষ্ঠানটি। এছাড়া রাজ টিভি অনলাইন ও একুশে টিভি অনলাইনেও অনুষ্ঠানটি একইসঙ্গে সম্প্রচারিত হয়। সংগঠনের সুযোগ্য আহবায়ক বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা দর্শক হৃদয়ে নতুন আড়োলন সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও সংগঠনের সদস্য সচিব বরেণ্য চিকিৎসক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের প্রতিটি অনুষ্ঠানে সাবলীল সূচনা বক্তব্যে অনুষ্ঠানটিতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।

করোনার শুরু থেকেই মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সম্প্রীতি বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। সেজন্য করোনার সচেতনতাকে গুরুত্ব দিয়েও অনেকগুলো সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেমন- করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক, করোনা নিয়ে আমরা কতটা প্রস্তুত!, করোনাকালে দেশ ও মানুষ, অস্থিরতা নয় স্থিতিশীলতাই কাম্য, করোনা কোন পথে, সেকেন্ড ওয়েব, সচেতন হই সুন্দর থাকি, নো মাস্ক নো সার্ভিস, ভ্যাকসিন মৈত্রী, ভ্যাকসিনের ক্রিয়া–প্রতিক্রিয়া।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সারা দেশের মানুষের মধ্যে জাগরণ তৈরিতে কাজ করছে সংগঠনটি। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘পথ হারাবে না বাংলাদেশ’, ‘আমার ভোট আমি দেব, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে দেব’ শিরোনামে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করতে সারা দেশে জাগরণ সৃষ্টিতে কাজ করেছিল সম্প্রীতি বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীকে ঘিরে তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে টিম সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

সম্প্রীতি বাংলাদেশ জেলা, উপজেলা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সভা-সমাবেশ ও করোনাকালে ওয়েবিনারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গঠনের জন্য কাজ করছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সুশীল সমাজেরও প্রশংসা কুড়িয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত মুচকুন্দ দুবের কথায়, ‘ভারতেই বলুন বা বাংলাদেশে, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা যে এই সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি, তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পটভূমিতে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এর মতো সংগঠনের কাজকর্ম আমাদের আশার আলো দেখায়, ধর্মান্ধতা থেকে বেরোনোর রাস্তা দেখায়!’ সাবেক নির্বাচনি বিশ্লেষক ও বর্তমানে ‘স্বরাজ্য পার্টি’র নেতা যোগেন্দ্র যাদবের মতে, ভারতেও এখন এই ধরনের সংগঠনের খুব প্রয়োজন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আমি আদর্শ বলবো না, তবে তারপরও সে দেশে যে ধরনের কাজকর্ম হচ্ছে, তা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’ বর্ষীয়ান পরিচালক ও সিনেমাটোগ্রাফার গোবিন্দ নিহালনি (যিনি বঙ্গবন্ধু বায়োপিক প্রকল্পের সঙ্গেও যুক্ত) বলেন,‘ভারতে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ছে তিস্তা শীতলবাদের সংগঠন ‘কমিউনালিজম কমব্যাট’, সেই তিস্তা শীতলবাদও মনে করেন— এদেশে তারা যে ধরনের কাজ করছেন, পাশের দেশে ঠিক সেই কাজটাই করছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

মাত্র তিন বছরে সম্প্রীতি বাংলাদেশ এদেশের জনগণের মধ্যে এক ধরনের আস্থা তৈরি করতে পেরেছে। নিজের অবস্থানে থেকে যে কোনো ন্যায়সঙ্গত ইস্যুতে জনগণের পাশে থেকেছে সংগঠনটি। করোনা মহামারিও সম্প্রীতি বাংলাদেশের কার্যক্রমকে স্থবির করতে পারেনি। বরং প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্প্রীতি বাংলাদেশের কার্যক্রম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের পক্ষে আপোষহীন সম্প্রীতি বাংলাদেশ। টীম ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই গতিধারা অবিরাম চলমান থাকবে, সে প্রত্যাশা রাখি। সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টামন্ডলী, আহ্বায়ক কমিটি ও সারা বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। শুভ জন্মদিন সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
লেখক: সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ ও সাবেক ছাত্রনেতা।
ইমেইল: haldertapas80@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *