মাতৃভূমি

‘বঙ্গবন্ধু’ ন্যাশনাল লেবার ইনস্টিটিউট নির্মাণ করার উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক মানের ‘বঙ্গবন্ধু’ ন্যাশনাল লেবার ইনস্টিটিউট নির্মাণ করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমান শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তনের স্থানে আগামী জানুয়ারি ২০২২ হতে ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রশিক্ষণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হবে।

শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার জানান, দেশের  শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধির মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক মাধ্যমে দেশের শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি করতে আন্তর্জাতিক মানের এই প্রশিক্ষণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হবে। টঙ্গির তুরাগ নদীর তীরে বর্তমান শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তনের স্থানে এই ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হলে শ্রম ও শিল্প সম্পর্কে  দেশ বিদেশের শ্রম বিশেজ্ঞ ও গবেষকরা বিশেষভাবে সমৃদ্ধ হবে। এখানে প্রশিক্ষণের জন্য থাকবে আবাসিক ব্যবস্থা, খেলাধুলাসহ প্রশিক্ষণ কালীন সময়ে পড়াশোনার জন্য সুরম্য লাইব্রেরীর ব্যবস্থা রাখা ও ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা চিন্তা করে শ্রম প্রশাসন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এই ইনস্টিটিউট শ্রম বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স চালু করার পরিকল্পনা করছে। জ্ঞানভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিবার পরিকল্পনা, শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিনোদন সেবা প্রদানসহ সশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণের আওতায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা  হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শ্রম ও প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এই প্রসঙ্গে বলেন, ২০২১ সালে শ্রম অধিদপ্তরের শতবর্ষ পূর্তি হবে। ১৯২১ সালে লেবার ডিপার্টমেন্টের যাত্রা শুরু করেছিল। পরবর্তীতে ষাটের দশকে তৎকালীন কলকারখানা, শিল্প শ্রমিক ও শ্রম পরিস্থিতি বিবেচনা করে শ্রম অধিদপ্তরের ৩২টি শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রসহ যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল সেগুলি কালের বিবর্তণে বর্তমানে জীর্ণ শীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। এছাড়া বর্তমানে কলকারখানা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক বিস্তৃতি ও বিকাশ ঘটেছে এবং শিল্পায়নের ফলে শ্রম, শ্রমিক ও শ্রম পরিস্থিতির ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

শিল্পায়নের এই যুগে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষে দেশ ও জাতির জন্য একটি আধুনিক শ্রম অধিদপ্তর উপহার দিতে শ্রম অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রায় ২৭টি বিভিন্ন প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রস্তুত করে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শ্রমিক মালিক পক্ষ সরাসরি এসবের সুফল ভোগ করবেন এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।

আরো পড়ুন:

ডিসি সম্মেলন ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *