মাতৃভূমি

বঙ্গবন্ধুর দরাজ কণ্ঠে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন রামনাথ কোবিন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ভারতের সফররত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ১৯৭১ সালে ছিলেন তরুণ আইনজীবী। বাংলাদেশের উত্তাল মার্চের ঘটনাক্রম তরুণ কোবিন্দকে অনুপ্রাণিত করে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে শিহরিত তিনিও হন।

তিনি বলেন, ‘আমার প্রজন্মের লাখ লাখ ভারতীয়ের মতো আমরাও উল্লসিত হয়েছিলাম। একটি অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় এবং এদেশের জনগণের বিশ্বাস ও সাহসে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম।’

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বক্তৃতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমার মনে আছে, একজন তরুণ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সাহসে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম, তার ভাষণে ছিল সেই সময়ের বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তার বজ্রকণ্ঠ লাখো মানুষের মতো আমার মধ্যেও বিদ্যুত সঞ্চারিত করেছিল।’

এসময় রামনাথ কোবিন্দ দুই দেশের বন্ধুত্ব নিয়ে কথা বলেন। তার মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে বন্ধুত্ব, তা অনন্য এক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীও বক্তৃতা করেন।

ভারতের প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনাদের সংগ্রাম ভারতে যে মাত্রায় সহানুভূতি এবং তৃণমূল স্তরের সমর্থন লাভ করেছে তার পরিমাণও ইতিহাসে বিরল। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাংলাদেশের জনগণকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানের জন্য তাদের হৃদয়-দ্বার উন্মুক্ত করেছে। আমাদের ভাই-বোনদের তাদের প্রয়োজনের সময়ে সাহায্য করা আমাদের জন্য সম্মানের এবং পবিত্র দায়িত্ব ছিল।

আরো পড়ুন:

রমনা কালীমন্দিরের সংস্কার হওয়া অংশের উদ্বোধন করলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *