ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: বিশ্বে প্রায় ৬ থেকে ৭ ঘন্টার জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তিনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অনেক চেষ্টার পর এই তিনটি প্লাটফর্মকে আবার চালু করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ওই ৬-৭ ঘন্টার ব্যবধানে জনপ্রিয় হয়ে যায় যোগাযোগের আরও এক মাধ্যম টেলিগ্রাম।
যতক্ষণ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল, ততক্ষন বিশ্বব্যাপী মানুষ টেলিগ্রাম ব্যবহার করতে শুরু করেন। টেলিগ্রাম অ্যাপটি তৈরি হওয়ার পর অনেকে টেলিগ্রামকে বেছে নিয়েছিল ব্যক্তিগত যোগাযোগ, তথ্য এবং সংবাদ আদান প্রদানের মাধ্যম হিসাবে। কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছিলেন টেলিগ্রাম ব্যবহার করে। টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দূলভ মঙ্গলবার জানান, ফেসবুক বন্ধ হওয়ার পর এই অ্যাপটি ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। টেলিগ্রাম আজও সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ইরানের একটি জনপ্রিয় ম্যাসেন্জার সাইট যা ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে আজও ব্যবহৃত হয়।
ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষ টেলিগ্রাম ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে। টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পাভেল নতুন ব্যবহারকারীদের এই নতুন ম্যাসেজিং প্লাটফর্মে স্বাগত জানিয়েছেন। টেলিগ্রাম এমন একটি অ্যাপ যা বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। আমেরিকার মনিটরিং ফার্ম সেন্সর টাওয়ারের মতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫তম স্থানে থাকা টেলিগ্রাম বর্তমানে পঞ্চম স্থানে চলে এসেছে। পাভেল জানান, ২০১৩ সালে এই নেটওয়ার্কটি তৈরি হলেও বিভিন্ন সময় এটিকে বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার জন্মলগ্নে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল টেলিগ্রামের। পরবর্তীকালে হোয়াটসঅ্যাপ আসার পর এর ব্যবহার অনেক কমে যায়। এরপর টেলিগ্রামের একাধিক পরিবর্তন আনা হয়।
আরো পড়ুন: