শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ফের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউতে) নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ৪টায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সপ্তম তলার কেবিন থেকে চতুর্থ তলায় সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় বলে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। দিনদিন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে। তার পেটে পানি জমছে। এগুলো অপসারণ করতেই তাকে সিসিইউতে নিতে হচ্ছে।

এর আগে ডা. এস এম সিদ্দিকী বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার পেটে ও বুকে পানি জমেছে। সেই পানি ঝরছে। লিভার জীবাণু আক্রান্ত হয়ে গেছে। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আর বাসায় নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাকে এখন আমাদের উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। তিনি মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে আছেন। খালেদা জিয়ার ভালো চিকিৎসার এখনো সুযোগ আছে, সেটা দেশের বাইরে। খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিতেই হবে। তাকে দেশের বাইরে নিয়ে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া দরকার।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

সবশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তিনি এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। মাঝে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাতে সরকারের সাড়া মেলেনি।

উল্লেখ্য, দুই মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগেও বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *