ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: রাশিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচনে আবারও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দল বড় জয়ের পথে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিন দিনব্যাপী এ নির্বাচনে গত শুক্রবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে রোববার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় শেষ হয়েছে। এ নির্বাচনে ক্রেমলিনের বেশিরভাগ সমালোচককে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনা হচ্ছে।
রয়টার্স ও এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়নের মধ্য দিয়েই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পুতিনের সমালোচক আলেপি নাভালনির আন্দোলন গুঁড়িয়ে দেওয়া ও প্রতিপক্ষকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার পরও রাশিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলই জয়ের পথে। নাভালনির সমর্থকরা এই নির্বাচনে লড়তে পারেননি। নির্বাচনে জয়ের পথ সুগম করতে নাভালনির ‘স্মার্ট ভোটিং’ অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল স্টোর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। নির্বাচনে পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া ছাড়াও প্রায় ১২টি দল অংশ নিয়েছে। তবে এ দলগুলোকে প্রতীকী বিরোধী দল বলা হচ্ছে।
৬৮ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সমর্থন দেওয়া এ দলটির জনসমর্থন হ্রাস পেয়েছে বলে রাষ্ট্রায়ত্ত জরিপ সংস্থাগুলো জানিয়েছে। কিন্তু এরপরও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কমিউনিস্ট পার্টি ও জাতীয়তাবাদী এলডিপিআর পার্টির তুলনায় ইউনাইটেড রাশিয়ার জনপ্রিয়তা এখনও বেশি বলে জরিপগুলোর ফলাফলে দেখা গেছে। ৪৫০ আসনের মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ইউনাইটেড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরেই গতবছর সংবিধান সংস্কার করে নেয় ক্রেমলিন। আর তাতে ২০২৪ সালের পর পুতিন আরও দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমোদন পান। এতে তার সামনে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
নাভালনির সহযোগী লিওনিড ভলকভ বলেন, ক্রেমলিনের ব্ল্যাকমেইলের মধ্য দিয়ে পুতিনের দল একটি বড় বিজয় উদযাপন করতে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও তারা তাদের সমর্থকদের প্রতি এ আহ্বান জানাচ্ছেন, তারা যেন পুতিনের আনন্দময় মেজাজকে শোকের রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
আরো পড়ুন: