প্রচ্ছদ

ফাইজার টিকার দুই ডোজের মধ্যে ৮ সপ্তাহের ব্যবধান সবচেয়ে কার্যকর: গবেষণা

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজের মধ্যে সময় ব্যবধান কতটুকু হওয়া দরকার, এ নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেছেন। এবার যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা নতুন তথ্য জানালেন। তাঁরা বলেছেন, ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি টিকার দুই ডোজ প্রয়োগের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান আট সপ্তাহ হলে তা সবচেয়ে ভালো কার্যকর।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এই ডোজের ব্যবধান পর্যাপ্ত হলে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে, তা অধিকমাত্রায় করোনা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাইজারের টিকার দুই ডোজের মধ্যে বিরতির কথা বলা হয়েছিল তিন সপ্তাহের। এরপর তা বাড়িয়েছে ব্রিটিশ সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে নতুন এই গবেষণা।

এ ছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের তৈরি টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান আট সপ্তাহ হলে তা করোনাভাইরাসের ডেলটা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভালো প্রতিরোধ গড়তে পারে।

২০২০ সালের শেষ দিকে এসে এই দুই ডোজের মধ্যে সময় ব্যবধান ১২ সপ্তাহ করে যুক্তরাজ্য সরকার। কিন্তু এই নীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। দেশটিতে এখন ১৮ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে। আর দ্বিতীয় ডোজ আট সপ্তাহের ব্যবধানে নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

যদিও ব্রিটিশ গবেষকদের নতুন এই গবেষণার প্রিভিউ এখনো সম্পন্ন হয়নি। নতুন এই গবেষণার জন্য যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের পাঁচ শতাধিক কর্মীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে একদল যারা ২০২০ সালের শেষ দিকে টিকা নিয়েছে এবং যারা ২০২১ সালের শুরুতে টিকা নিয়েছে, তাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, যারা কম সময়ের ব্যবধানে টিকা নিয়েছে, তাদের তুলনায় যারা বেশি সময়ের ব্যবধানে টিকা নিয়েছে, তাদের প্রতিরোধব্যবস্থা শক্তিশালী। এ ছাড়া তিন সপ্তাহের ব্যবধানে টিকার ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের শরীরে খুব কম পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *