স্বাস্থ্য

ফাইজারের টিকা ১২-১৫ বয়সীদের শরীরে দীর্ঘ মেয়াদে কার্যকর

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের শরীরে ফাইজারের টিকার দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পরও এ বয়সী শিশুদের শরীরে টিকা শতভাগ কার্যকর থাকতে দেখা গেছে। দুই হাজারের বেশি শিশুর শরীরে টিকার পরীক্ষা চালানোর পর এমনটা দাবি করেছে ফাইজার। তাদের আশা, বিশ্বজুড়ে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য টিকার পূর্ণ অনুমোদন চাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন এ তথ্য সহায়ক হবে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ১২-১৫ বছর বয়সীদের জন্য ফাইজার টিকা ‘জরুরি ব্যবহারের’ অনুমোদন দেওয়া হয়। ফাইজার কোম্পানি এ টিকা ব্যবহারের পূর্ণ অনুমোদন চাওয়ার পরিকল্পনা করছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে শুধু ১৬ ও এর চেয়ে বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ার পূর্ণ অনুমোদন আছে।

টিকা নিয়ে ফাইজারের চালানো পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী ২ হাজার ২২৮ শিশু। এর মধ্যে কিছুসংখ্যক শিশুকে ফাইজারের আসল টিকা এবং কিছুসংখ্যক শিশুকে প্লাসেবো (গবেষণার সুবিধার্থে ব্যবহৃত ভিন্ন ওষুধ) দেওয়া হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও ৩০ শিশুর মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এ শিশুদের কাউকেই ফাইজারের আসল টিকা দেওয়া হয়নি, প্লাসেবো দেওয়া হয়েছিল। ফাইজারের আসল টিকা নেওয়া কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। এর ভিত্তিতে ফাইজার দাবি করেছে, তাদের এ টিকা ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ১০০ শতাংশ কার্যকর। লিঙ্গ, বর্ণ, স্থূলতার মাত্রা, সহজাত অবস্থা নির্বিশেষেই এর কার্যকারিতা অনেক বেশি।

এক বিবৃতিতে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বোরলা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বজুড়ে টিকা নেওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আর এমন সময়ে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের শরীরে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে নতুন যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।’

আলবার্ট বোরলা আরও বলেন, কিছু অঞ্চলে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বোরলা জানান, নতুন গবেষণায় পাওয়া তথ্যগুলো এফডিএ ও অন্য ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফাইজার।

ফাইজারের দাবি, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর অন্তত ছয় মাসের পর্যবেক্ষণে গুরুতর কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যায়নি। অন্যতম প্রধান ঝুঁকি হলো ১২-১৫ বছর বয়সী ছেলেশিশুদের হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ। তবে এ ধরনের ঘটনা খুব বিরল। তবে পরীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, টিকা নেওয়ার কারণে যে পরিমাণ উপকার হবে, সে তুলনায় ঝুঁকির মাত্রা নগণ্য। কারণ করোনাভাইরাস নিজেই হৃৎপিণ্ডে প্রদাহ তৈরি করতে পারে এবং তা অনেক বেশি গুরুতর।

আরো পড়ুন:

দেশে তৈরি বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *