প্রচ্ছদ

প্রেসিডেন্টের ক্ষমায় প্রাণ বাঁচলো দুই টার্কির

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমা ঘোষণায় খাওয়ার টেবিলে স্থান পেতে যাওয়া দুই টার্কির জীবন রক্ষা পেয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

আসন্ন ‘থ্যাংকসগিভিং ডে’তে হয়তো কোন মার্কিন পরিবারের খাবার টেবিলে থাকতো ‘পিনাট বাটার’ ও ‘জেলি’ নামের দুই টার্কি পাখি। থ্যাকসগিভিং ডে-কে সামনে রেখে গত শুক্রবার মুরগিগুলোর জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আর এর মধ্য দিয়ে যেন দ্বিতীয় জীবন খুঁজে পেল পিনাট বাটার আর জেলি। প্রতিবছর নভেম্বর মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার থ্যাংকসগিভিং ডে পালন করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেই প্রথা অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে পালিত হবে থ্যাংকসগিভিং ডে। আর সেই দিনটিতে টার্কির রোস্ট খাওয়ার ব্যাপক প্রচলন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে।

থ্যাঙ্কসগিভিং ডিনার টেবিল থেকে একটি টার্কিকে বাঁচানোর জন্য বার্ষিক হোয়াইট হাউসের অনুষ্ঠানটি ১৯৮৯ সালে জর্জ এইচডব্লিউ বুশের সাথে আন্তরিকভাবে শুরু হয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেক ঐতিহ্যকে ট্র্যাশ করেছিলেন কিন্তু এটি বজায় রেখেছিলেন, কেলেঙ্কারির কারণে তাকে জড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করার চেষ্টা করেছিলেন।

প্রতিবছর থ্যাংকসগিভিং ডে-তে প্রেসিডেন্ট টার্কিকে ক্ষমা করার রীতি পালন করা হয়। সেই প্রথার অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে পাঠানো হয়েছিল পিনাট বাটার ও জেলি নামের এই দুই টার্কিকে। যদিও হোয়াইট হাউসে পাঠানোর আগে ওই দুটি টার্কিকে ওয়াশিংটনে লুক্সে উইলার্ড হোটেলে রাখা হয়েছিল। গত শুক্রবার  টার্কিগুলো হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে এনে প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর সেখানেই ওই দুই টার্কিকে ক্ষমা করে দেন প্রেসিডেন্ট। ফলে তাদের প্রাণ বেঁচে যায়। এরপর টার্কিগুলোকে পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সায়েন্সেস এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফার্মে পাঠানো হয়েছে। এখন থেকে সেখানেই থাকবে পিনাট বাটার ও জেলি।

আরো পড়ুন:

জনপ্রিয়তার শীর্ষে চার কানের বিড়াল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *