ক্যারিয়ার প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় হতে পারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে।

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ার পরে দেশের সব নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আর তাইতো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত সময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালককে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে এ নির্দেশনা দেন।

রোববার (২১ নভেম্বর) এ ব্যপারে জানতে চাইলে ডিপিই’র মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার পর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করে প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলায় জানুয়ারির মাঝামাঝি প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এ সময়কে সামনে রেখে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ধাপে ধাপে জেলা পর্যায়ে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।

আরও জানা গেছে, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে ৩২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবেন ২৫ হাজার ৬৩০ জন। বাকিগুলো শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে গত দুই বছর শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত থাকায় শূন্যপদের সংখ্যা বেড়েছে। এজন্য বাড়ানো হবে শিক্ষক নিয়োগের সংখ্যা। এরই মধ্যে ১৩ লাখ পাঁচ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হবে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে পরীক্ষা শুরু করতে নেওয়া হবে প্রস্তুতি।

আরো পড়ুন: 

কি কারণে বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ফেল হতে পারে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *