প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ২৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। সংশ্লিষ্টদের সারাদেশে বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো এবং শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন এবং পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) ডিপিই থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. পিটিআই, মাঠ পর্যায়ের দপ্তর ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবকাঠামো ও বিভিন্ন নির্মাণের ক্ষেত্রে পুরোনো অবকাঠামো বিধিগতভাবে নিষ্পত্তি করা;
২. গুদামে সংরক্ষিত পুরাতন মালামাল ও যানবাহন নিষ্পত্তি করা;
৩. বিধিগতভাবে পুরাতন আসবাবপত্রের ব্যবহার ও নিষ্পত্তি সম্পন্ন করা;
৪. স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে ইনভেন্টরি রেজিস্টার সংরক্ষণ ও হালনাগাদ করা;
৫. সরকারি জমির সময়মতো ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা;
৬. শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে চাহিদা নিরূপণ করা; নির্মাণ কাজের রিয়েলটাইম মনিটরিং করা এবং নির্মাণ বাস্তবায়ন শেষে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা;
৭. মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবকাঠামো ও নির্মাণকাজ তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণে সহযোগিতার জন্য সুচারুভাবে কর্মপরিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা;
৮. অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রমের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা;
৯. শ্রেণিকক্ষে পরিচালিত সরাসরি পাঠদান কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা;
১০. এসআরএমের সঠিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা;
১১. ব্ল্যাকবোর্ড, হোয়াইটবোর্ড ও স্মার্টবোর্ডসহ শিখন উপকরণের সঠিক ব্যবহার করা;
১২. মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন কৌশল অনলাইনে অবগত করা এবং বাস্তবায়নে তাদের যথাসময়ে সম্পৃক্ত করা;
১৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পরিমিত অনুপাত মতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে বদলি নিশ্চিত করা;
১৪. শূন্যপদ ও কর্মকর্তাবিহীন কর্মস্থলের তালিকা প্রণয়ন করে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
১৫. আলোচনাক্রমে এনসিটিবির সরবরাহ করা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রকল্পভিত্তিক বইয়ের বিধিসম্মত ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা;
১৬. শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার রোধকল্পে বাস্তবমুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা;
১৭. প্রকল্পের আওতায় গৃহীত সব উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ম অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা;
১৮. পার্বত্য জেলায় অবস্থিত ছাত্রাবাসের ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা বিধিমতে নিশ্চিত করা;
১৯. প্রাথমিক শিক্ষাক্রম প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে এনসিটিবি, ডিপিই এবং নেপের সমন্বয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা;
২০. প্রাথমিক শিক্ষাক্রম বিস্তরণ ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনার অগ্রগতি সার্বক্ষণিকভাবে ডিপিই কর্তৃক অনলাইন-অফলাইন মনিটরিং ও মূল্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
২১. পাঠ্যপুস্তক এবং শিক্ষক সংস্করণ ও শিক্ষক সহায়িকা যুগপৎভাবে প্রণয়ন ও বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
২২. শিক্ষক নির্দেশিকায় উল্লিখিত শিখন-শেখানো পদ্ধতি/কৌশল যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পদ্ধতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
২৩. শিক্ষক নির্দেশিকায় উল্লিখিত শিখন-শেখানো কৌশলের প্রায়োগিক/ফলিত বিষয়গুলো অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
২৪. পাঠ্যপুস্তকের বাংলা থেকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ সহজতর ও বোধগম্য করা;
২৫. এক্সালেরেটেড রিমিডিয়াল লার্নিং পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান এবং অনলাইন পদ্ধতিতে পাঠদান সম্প্রচার কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা;
২৬. বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনাক্রমে যথাক্রমে শিক্ষা চ্যানেল ও কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে পাঠদান সম্প্রচারের আওতা বৃদ্ধি করা;
২৭. স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টারের ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ মানসম্মত ও বিধিগত করার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা ও ফলাফল বিধিগতভাবে বাস্তবায়ন করা।
- বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইডথ ও ডিজিটাল মাস্টার ট্রেইনার নেবে ভুটান
- ২০২২ সালেও স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি