সঞ্জয় গোস্বামী: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ওপর নির্যাতন, মামলা ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনার প্রতিবাদ জানালো নাট্য সংগঠন প্রাচ্যনাট। ‘রোজিনার জন্য নাট্যযাত্রা’ শিরোনামে আয়োজিত পদযাত্রা সচিবালয় থেকে শুরু হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। বৃহস্পতিবার আয়োজিত ওই পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিভিন্ন নাট্যকর্মীরাও সংহতি জানান। পদযাত্রায় ছিল না কোনো স্লোগান। ছিল প্রতীকি কারাগারে বন্দী কলম, ঢোলের বাদ্য, প্রতিবাদী গ্ল্যাকার্ড, কাঁধে খবরের কাগজে লেখা স্লোগান আর কালো টিশার্ট।
সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু হয় নাট্যযাত্রা। শহীদ মিনার হয়ে সেটি শেষ হয় শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে সেখানে একটি পথনাটক পরিবেশন করে নন্দিত নাট্যদল প্রাচ্যনাট।
পথনাটকে দেখানো হয়, জেলের গারদে আটকে আছে কলম। সেখানে প্রতীকী বার্তা দেওয়া হয়, স্বাধীন সাংবাদিকতাই আটকে আছে প্রশাসনিক জালে। রোজিনার লেখা আলোচিত প্রতিবেদনের শিরোনামগুলো সেখানে তুলে ধরা হয় আর তার জন্য তোলা হয় ন্যায়বিচারের দাবি। বিকেল পাঁচটায় শেষ হয় নাট্যযাত্রার এই আয়োজন। র্যালিতে অংশ নেন প্রাচ্যনাটের ৪০ কর্মী, শিক্ষার্থী ও ১০০ সংস্কৃতিকর্মী।
আরও পড়ুন: ‘রোজিনার জন্য নাট্যযাত্রা’ শীর্ষক প্রাচ্যনাটের পদযাত্রা আজ বিকেলে
প্রাচ্যনাটের মুখ্য সম্পাদক কাজী তৌফিকুল ইমন বলেন, “সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকের এ ঘটনার মধ্য দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধা দেওয়ার যে নজির তৈরি হলো, তা নিন্দনীয়। একজন সাংবাদিকের গলা টিপে ধরার অধিকার তো তাদের নেই। রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার মধ্য দিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে আঘাত করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। পাশাপাশি সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।”
প্রাচ্যনাটের জ্যেষ্ঠ সদস্য সাইফুল জার্নাল বলেন, “সম্প্রতি বিচ্ছিন্নভাবে অনেকগুলো ঘটনা ঘটল। কিন্তু লকডাউনের জন্য আমরা একত্র হয়ে রাস্তায় নামতে পারিনি। আজও আমরা জোর দিয়ে কাউকে আসতে বলিনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাসম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে র্যালি আর পারফরম্যান্স করেছি। সাংবাদিকেরা জীবন বাজি রেখে আমাদের জন্য কী না করেন। আর তাদের দুঃসময়ের সঙ্গী হওয়া আমাদের দায়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা আমাদের শিল্প আর সংস্কৃতিচর্চারই অবিচ্ছেদ্য অংশ।”