প্রাকৃতিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় যা করোনা মোকাবেলায় বিশেষ কার্যকারী । করোনার প্রাকৃতিক চিকিৎসা, শুনতে অবাক লাগলেও রান্নাঘরের নিরীহ ধাঁচের কোটাগুলতেই আছে এই মহামারী মোকাবেলার উপায়।
মহামারী শব্দটা যে ইতিহাসের পাতা থেকে একেবারে আমাদের জীবনে এসে উঁকি দিবে তা এই বছরকে আমন্ত্রণ জানানোর সময়টতেও ছিল অসম্ভব আর অধরা একটি বিষয়।
আরও পড়ুন: সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
কিন্তু বছরের কয়েক মাস যেতেই কোভিড১৯ নামক আতংককে সাথে নিয়ে আমাদের বাঁচা, এক মহামারীর ইতিহাস গড়তে এখন আমাদের প্রতিটি দিন কাটছে।
প্রাকৃতিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় যা করোনা মোকাবেলায় বিশেষ কার্যকারী
প্রাণপাতের আশঙ্কায় যখন চিন্তা আড়ষ্ট ঠিক তখনই মদিনার এক গবেষণা দেখালো আশার নতুন আলো। প্রতিদিন একটু করে যান্ত্রিক হয়ে ওঠা আমরা যেন ভুলেই গিয়েছিলাম একমাত্র প্রকৃতিতেই আছে আমাদের সকল দুশিন্তার পরিত্রাণ আর মদিনার ঐ গবেষণা আমাদের সেই জিনিসটাই মনে করিয়ে দিল।
কালোজিরা, মধুর মত অতি পরিচিত জিনিসগুলোই আজ করোনা মোকাবেলায় সবথেকে কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।
কালোজিরায় বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রন, থাইমোকিনোণ, নাইজেলোন, ওলিক অ্যাসিড, লিনোলিক অ্যাসিড ফুসফুসের প্রদাহ, ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা, পেটের অসুবিধা, জ্বর, মাথা ব্যাথা, গলা ব্যাথার মত অসুখ ভাল করতে আনেক আগে থেকেই জাদুকরি ফল দেয়। হাঁপানি আর কাশির রোগীদের কাছে কালোজিরার তেল পূর্ব থেকে একটি কাঙ্ক্ষিত ঔষধ।
মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠ রাসুল (সাঃ) কালোজিরাকে মরণ ব্যতিত সকল অসুখের মহাঔষোধ বলে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। আবার মিষ্টতার দিক থেকে মধুর যেমন প্রতিদ্বন্দ্বী পাওয়া মুশকিল তেমনি এর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতারও সমতুল্য কেউ নাই।
মধু, যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, কোলেসট্ররাল, সোডিয়াম ও ফ্যাটের মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তা ঠাণ্ডাজনিত অসুখের চিকিৎসায় প্রাচীনকাল থেকেই ছিল চর্চিত একটি ঔষধ।
রসুন এবং মধুর পেষ্ট জ্বর ঠাণ্ডায় পরীক্ষিত একটি ঔষুধ, গরম জলের সাথে বা চায়ের সাথে বা সাধারণ লেবু পানির সাথে মধুর মিশ্রণ হতে পারে এই কোভিড১৯ যুদ্ধের অগ্রগামী সৈনিক।
এই উপদানগুলোর সাথে চামেলি বা চামেলি ফুলের চা এর কথা যুক্ত না করলে পুরো আলোচনায় অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। খুব বেশি কেমিক্যালের উপর নির্ভরশীল আমরা অনেকেই জানি না চামেলির ফুল না শুধু সৌন্দর্যের দিক থেকে, ঔষুধি গুণেও প্রশংসিত।
উল্লেখিত হারে ক্যামোমিল বিদ্যমান থাকা শুকনো চামেলি ফুল চা হিসেবে ব্যবহৃত হয় ডায়াবেটিকস চিকিৎসায় এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে।
ঠাণ্ডার সমস্যা, মাসল পেইন, ঘুমের সমস্যা সহ চামেলি ফুল এর আছে ক্যানসারের মত জটিল রোগের সাথে লড়াই এর অভিজ্ঞতা। যার ধারাবাহিকতা হিসেবে করোনা প্রতিরোধেও এই প্রাকৃতিক উপাদানটি তার অবদান রাখতে ভুলছে না।
ডায়াবেটিকস, হার্টের বা হাঁপানি রোগীরা এই রোগের আক্রমণের প্রথম শিকার, তাই এইসব রোগ নিয়ন্ত্রণের রাখাটা এখন সব থেকে জরুরি। কোভিড১৯ এর লক্ষণসমূহ যেমন ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি, হাঁপানি, পেটের ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, দুর্বলতা, নির্ঘুমতা এই সবগুলো রোগের ঔষধ হিসেবে বহু আগে থেকেই উপরের উপাদানগুলো ব্যনহৃত হয়ে আসছে।
আর এখন যখন আমাদেরকে শরীরে যতবেশি সম্ভব এন্টিবডি তৈরির দিকে মনোযোগ দিতে হবে, তখন করোনা প্রতিরোধে এই প্রাকৃতিক উপায়গুলোই দেখাতে পারে আশার আলো। আরব আমিরাত প্রাকৃতিক এই চিকিৎসার মাধ্যমেই মাত্র এক সপ্তাহের মাঝে কোভিড ১৯ রুগী সুস্থ্য করার রেকর্ড গড়েছে।
লকডাউনের এই সময়গুলোতে বাইরে বের হওয়া একেবারেই নিরাপদ নয় তাই করোনার প্রাকৃতিক চিকিৎসা এর এই উপাদানগুলো সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন অনলাইন শপই হতে পারে সহজ সমাধান।
বুঝতেই পারছেন প্রাকৃতিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় যা করোনা মোকাবেলায় বিশেষ কার্যকারী তা আমাদের হাতের লাগালেই আছে। নিজেকে আর পরিবারকে নিরাপদ রাখতে এখন সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।