প্রচ্ছদ

শক্ত অবস্থানে প্রশাসন : যাত্রীশূন্য বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া ফেরিঘাট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: কঠোর বিধিনিষেধের কারণে সড়ক-মহাসড়কে প্রশাসনের কড়াকড়িতে চলাচল করতে পারছে না যাত্রীবাহী যানবাহন। এ কারণে লকডাউনের তৃতীয় দিনেও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের সমাগম নেই। বেশ নীরব ফেরিঘাট এলাকা।

এদিকে যাত্রীশূন্য অবস্থা ও যানবাহনের পরিমাণ খুবই কম থাকায় এই নৌপথে ফেরির সংখ্যাও কমানো হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে এই নৌপথে ১৬টি ফেরির বিপরীতে মাত্র ৭টি চলাচল করছে। ৯টি ফেরি ঘাটের বিভিন্ন স্থানে অলস পড়ে আছে।

এ সম্পর্কে বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, যাত্রীর চাপ নেই। পুরো ঘাট খালি। কিছু পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি পারাপার হয়। এর জন্য উভয় ঘাট থেকে ছোট ফেরি ২টি, রো রো ফেরি ২টি, কে–টাইপ (মাঝারি) ফেরি ৩টিসহ মোট ৭টি ফেরি চলাচল করছে। বাকি ফেরিগুলো উভয় ঘাটেই নোঙর করে রাখা। যাত্রী বা যানবাহনের চাহিদা বাড়লে প্রয়োজন অনুযায়ী ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।

বিআইডব্লিউটিসি ঘাটসূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। ওই দিন থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমে যায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে। প্রথম দিন এই নৌপথে ১৪টি ফেরি চালু রাখা হলেও যানবাহনের চাপ কমতে থাকায় আজ সকাল থেকে এই নৌপথে ৭টি ফেরি চালু রাখা হয়।

আজ সকালে সরেজমিনে বাংলাবাজার ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘাটের তিনটি টার্মিনালে স্বাভাবিক সময়ে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসে ভরা থাকে। এখন টার্মিনালগুলো পুরোটাই ফাঁকা। টার্মিনালে কোনো যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় নেই। ঘাটে পারাপারের জন্য আসছে পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি। এগুলো আসামাত্রই ফেরিতে উঠতে পারছে। সাধারণ কোনো যাত্রী নেই। শিমুলিয়া থেকে আসা ফেরিগুলোয় যানবাহন ছাড়া কোনো যাত্রী নেই। ঘাটের বিভিন্ন স্থানে হাইওয়ে পুলিশ, শিবচর থানার পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ কঠোর নজরদারি করছে।

চট্টগ্রামগামী পণ্যবাহী ট্রাকের চালক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘাটে কোনো চাপ নেই। কখনোই ঘাটে এসে ফেরিতে উঠতে পারি না। এবার ঘাটে আসামাত্রই ফেরিতে উঠতে পারলাম। মানুষ নেই, অন্য গাড়ি নেই—এমন রূপ আগে কখনো দেখিনি।’

বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) জামালউদ্দিন বলেন, কোনো যানবাহন ও যাত্রীদের ঘাটে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফেরিঘাটের চারটি ঘাটে সব ধরনের দোকানপাট, খাবার হোটেল বন্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *