স্বাস্থ্য

প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্র বাড়ানোর তাগিদ

নিখিল মানখিন, ধূমকেতু ডটকম: প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্র বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, আয়ু বাড়ার সাথে সাথে বাংলাদেশে বয়স্ক নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বয়স্কদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা সীমিত। স্বাভাবিক ভাবেই তাদেরকে নির্ভর করতে হয় সাধারণ চিকিৎসার। এতে বয়স্কদের স্বাস্থ্যসেবা পুরোপুরি নিশ্চিত হয় না। করোনার আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার ক্ষেত্রেও বয়স্ক লোকদের সংখ্যা মোট আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স্ক ও অন্য বয়সী রোগীর রোগ ও রোগের চিকিৎসার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। বয়স হলে এমন অনেক রোগ দেখা যায় যার সুনির্দিষ্ট উপসর্গ থাকে না বা বয়স্করা সেগুলো ঠিকমতো অনুভব করেন না। তারা এগুলো ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারেন না।

অনেক সময় দেখা যায়, খুব জটিল বা মারাত্মক অসুখে বৃদ্ধ রোগী সাধারণ অবসাদ, দুর্বলতা, অস্বস্তি এ ধরনের সমস্যার কথা বলছেন। এমন ক্ষেত্রে পরিবার থেকেও নজর দেওয়া হয় না, এমনকি অনেক চিকিৎসকও যথার্থ মনোযোগ না দিয়ে বার্ধক্যজনিত রোগ বলে মনে করেন। এভাবে অবহেলার ফলে অনেক রোগ নিরাময় সম্ভব হয় না। এর মূল কারণ বৃদ্ধদের সমস্যা সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান ও বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার অভাব। স্বাস্থ্যসহ সেবা খাতগুলোও এ মুহূর্তে এই চাপ টানতে সেভাবে প্রস্তুত নয়৷ সরকার অবশ্য ইতোমধ্যেই বয়স্ক নাগরিকদের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে৷ বিশেষ করে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ দিতে সন্তানদের বাধ্য করা হচ্ছে৷ 

বয়স্ক জনগোষ্ঠীর নানাবিধ সমস্যার সন্মুখীন হয়ে থাকেন চাহিদার পরিসরে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বয়সভেদে বেশ তারতম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশ ও অঞ্চল ভেদে করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভিন্নতা দেখা গেলেও এক্ষেত্রে প্রবীণ জনগোষ্ঠীই অধিকতর মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক উপাত্তেও লক্ষ্যণীয়। আর এ বয়স্ক মানুষদের করোনাভাইরাসের সাথে অন্যন্য রোগ থাকলে কো-মরবিডিটি (যেমন উচ্চ রক্ত চাপ, ডায়াবেটিস, ফুসফুসে সমস্যা) থাকলে তাদের করোনাভাইরাসে অধিকতর মৃত্যুঝুঁকি লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্তদের অধিকাংশই পুরুষ ও মধ্য-বয়সী হলেও প্রবীণরাই অধিকতর মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে দেশের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে থাকা এ প্রবীণ জনগোষ্ঠীর দিকে প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-২০২০ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের গড় আয়ু দুই মাস বেড়ে ৭২ বছর ৮ মাস হয়েছে।  এর মধ্যে পুরুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭১ বছর ২ মাস; আর নারীদের ৭৪ বছর ৫ মাস।  এর আগের ২০১৯ সালের এই প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ বছর ৬ মাস।

এদিকে, জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে ৬০ বছর বা ঊর্ধ্বে যারা রয়েছে তাদের প্রবীণ বলে স্বীকৃত। পরবর্তীতে তাদের সিনিয়র সিটিজেন হিসাবে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বয়সের মানদণ্ডে বর্তমানে বাংলাদেশে ৮ শতাংশ মানুষ ৬০ বছর কিংবা উপরে (২০১৯ সালে বিবিএস প্রকাশিত রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাপল ভাইটাল স্ট্যাটিক্টিস ২০১৮-এর তথ্যে) রয়েছে যা জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের প্রক্ষেপন অনুযায়ী ২০৩০ সালে পৌঁছে যাবে প্রায় ১২ শতাংশে।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের ওয়ার্ল্ড পপুলেশন এইজিং রিপোর্ট ২০১৯ অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৫ বছর ও উপরে জনগোষ্ঠী রয়েছে ৫.২ শতাংশ।জাতিসংঘ জনসংখ্যা উন্নয়ন কর্মসূচির ‘টেস্ট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ২০১৯’রিপোর্ট অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ১৬৮.১ মিলিয়নকে ভিত্তি ধরে ওয়ার্ল্ড এইজিং রিপোর্ট ২০১৯ অনুযায়ী ৫.২ শতাংশকে বিবেচনায় নিলে ৬৫ বছর ঊর্ধ্ব মানুষ দেশে ২০১৯ সালেই ছিল ৮৭ লক্ষ ৪১ হাজারের অধিক জন। আর বিবিএস-২০১৮ সালের এসভিআরএস অনুযায়ী ৬০ বছর ঊর্ধ্ব ৮ শতাংশ হিসাব করলে ২০১৮ সালেই দেশে প্রায় ১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষ ছিল।

বিশেষজ্ঞকদের মতে, মূলত শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, বাল্যবিবাহ প্রবণতা হ্রাস পাওয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে উন্নতি হওয়ায় আমাদের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এইসব সূচকে অগ্রগতির ফলে প্রতি বছরই গড় আয়ু বাড়ছে। আমাদের আয়ুষ্কাল বাড়ছে, দৃশ্যত এটা  ভালো খবর নিঃসন্দেহে। তবে এই ধূমকেতুের পাশাপাশি মনে রাখতে  হবে যে, এই বিষয়ে উন্নত বিশ্বের দেশসমূহে যে সমস্যা দৃষ্টিগোচর হচ্ছে, সেই অবস্থায় একসময় আমরাও পৌঁছব। গড় আয়ু বৃদ্ধির সঙ্গে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়বে। এখনই তা দৃশ্যমান। ঘরে ঘরে ষাট, এমন কী সত্তরোর্ধ বয়সের মানুষের দেখা মিলছে। আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অবসরকালীন লোকের সংখ্যাও বাড়ছে। তাদের জন্য নেই বিশেষায়িত্ব চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার সুব্যবস্থা।

বয়স্কদের জন্য দরকার বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা 

জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর নূরুন্নবী বলেছেন, গড় আয়ু বাড়ার ক্ষেত্রে শিশু মৃত্যুর হার কমে যাওয়ার একটা সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে৷ শিশু মৃত্যুর হার কমাতে বাংলাদেশ যথেষ্ট উন্নতি করছে৷ তাই দেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে৷ স্বাভাবিকভাবেই মানুষের গড় আয়ু বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা৷ এরও একটা প্রভাব ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে পড়তে পারে৷ তবে এখন থেকেই যে সরকার বয়স্কদের ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে, সেটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন এই জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ।

অধ্যাপক এম নূরুন্নবীর আরও বলেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্যবীমা নেই৷ এছাড়া বয়স্কদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা দরকার হয়, সেই ব্যবস্থা এখনও সেভাবে গড়ে ওঠেনি৷ এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বয়স্করা বেশিরভাই উপার্জনক্ষম নয়৷ ফলে বয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটা সংকট দেখা দিতে পারে৷

আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংগঠন বা এনজিও পপুলেশন কাউন্সিল’ বাংলাদেশ শাখার পরিচালক উবায়দূর রব বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি ঘটলেও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে৷ তিনি বলেন, দেশে এখনো অকালে গর্ভপাতের ঝুঁকি রয়েছে৷ তাই জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বন্ধ্যাত্বকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে৷ এছাড়া শহরের গরিবদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়৷ অধিকাংশ মানুষ এখনও শহরমুখী৷ তাই তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো প্রয়োজন৷ তাহলে হয়ত বয়স্ক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাবে৷ তাঁর মতে, গ্রামে পর্যাপ্ত চাকরির ব্যবস্থা করলে মানুষের শহরমুখি হওয়ার প্রবণতা কমবে৷ আর তাতে জনসংখ্য ভারসাম্যও প্রতিষ্ঠা হবে৷

বয়স্কদের রোগ ও শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, চুল পেকে যাওয়া, ত্বকে বলিরেখা, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হওয়া, প্রবণশক্তি কমে যাওয়া, সঙ্গে পেশি দুর্বল, হাড়ের ক্ষয় হয়, যকৃৎ এবং বৃক্কের কার্যক্ষমতা কমতে থাকা-বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রকম নানা সমস্যা দেখা দেয়। শারীরিক পরিবর্তনের কারণে কিছু কিছু রোগ প্রকৃতিগতভাবে বয়স্কদেরই হয়ে থাকে। যেমন: তাদের রক্তনালি সরু হয়ে যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ প্রভৃতি হতে পারে। প্রবীণদের মস্তিষ্ক ছোট হয়ে আসে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘ব্রেন এট্রফি’। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। কেউ কেউ আলঝেইমার বা ডিমেনসিয়ায় আক্রান্ত হন। এসব রোগে স্মৃতিশক্তি কমে যায়, আবেগ, অনুভূতি, বিচারবুদ্ধি, বিবেচনাশক্তি, চিন্তা ক্ষমতা, কাজ করার ক্ষমতা ইত্যাদিতে পরিবর্তন আসে। আচার-আচরণে অনেকেই শিশুতে পরিণত হন। এছাড়া মাথাঘোরা, হাত-পা কাঁপা যাকে বলে ‘পার্কিনসন্স ডিজিজ’ ইত্যাদি নানা ধরনের মস্তিষ্কের রোগও প্রবীণদের মাঝে দেখা যায়।

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় ক্ষয়ে যায়, যাকে বলা হয় অস্টিওপরোসিস। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা বোধ করেন প্রবীণেরা। মাঝেমধ্যে সামান্য আঘাতেই হাড় ভেঙে যায় তাঁদের। চোখে ছানি পড়াটাও বয়স্কদের রোগ। পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে প্রস্রাবের জটিলতা দেখা দিতে পারে। অনেক বয়স্ক ব্যক্তির শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে তাঁদের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন: নিউমোনিয়া, যক্ষা ইত্যাদি।

এবিএম আব্দুল্লাহ আরও বলেন, শুধু শারীরিক সমস্যা নয়, মানসিকভাবেও তাঁরা অনেক সময় বিপর্যস্ত  থাকেন। পরিবারে অনেক সময় প্রবীণেরা অবহেলা-অযত্নে শিকার হন। কখনো কখনো নিজের সন্তানেরাও তাঁদের বোঝা মনে করেন। তাই কারও কারও আশ্রয় হয় বৃদ্ধাশ্রমে। আমি মনে করি, বয়স্কদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার প্রধান কারণ হলো- চিকিৎসা-সুবিধার অভাব। আবার গ্রামের প্রবীণ আর শহরের প্রবীণের সমস্যা অনেক সময় ভিন্ন হয়।

প্রবীণদের স্বাস্থ্যসমস্যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিশেষায়িত বিভাগ। কিছু কিছু রোগ আছে যা শুধু বয়স্কদেরই হয়। তাই ওষুধ ও খাবার—দুটির ক্ষেত্রেই বয়স্কদের সতর্ক থাকতে হবে।

আমাদের দেশে এখনো বয়স্কদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা সীমিত। এই বয়সে অনেক রোগই দেখা যায়, সুনির্দিষ্ট উপসর্গ থাকে না বা বয়স্করা সেগুলো ঠিকমতো অনুভব করেন না বা ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারেন না। অনেক সময় দেখা যায়, খুব জটিল বা মারাত্মক অসুখে বৃদ্ধ রোগী সাধারণ অবসাদ, দুর্বলতা, অস্বস্তি এ ধরনের সমস্যার কথা বলছেন। এমন ক্ষেত্রে পরিবার থেকেও নজর দেওয়া হয় না, এমনকি অনেক চিকিৎসকও যথার্থ মনোযোগ দেন না, হয়তো বার্ধক্যজনিত বলে মনে করেন। এভাবে অবহেলার ফলে অনেক রোগ নিরাময় সম্ভব হয় না। এর মূল কারণ বৃদ্ধদের সমস্যা সম্পর্কে বিশেষায়িত জ্ঞানের অভাব।

এবিএম আব্দুল্লাহ আরও বলেন, প্রবীণেরা  যাতে স্বল্প ব্যয়ে উন্নত চিকিৎসা লাভ করতে পারেন, সে জন্য পর্যাপ্ত হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি হাসপাতালে তাঁদের জন্য আলাদা বিছানা বরাদ্দ থাকা উচিত। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ তাঁদের বিনা মূল্যে বা অল্প দামে দেওয়া উচিত। এ ছাড়া প্রবীণদের চিকিৎসার জন্য বড় পরিবারের সদস্যদের বা ছেলেমেয়েদের মনে রাখা উচিত, তাঁরা যেন তাঁদের নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বলে জানান অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *