ধূমকেতু রিপোর্ট : প্রবাসীদের মেধাবী সন্তানদের জন্য এবারও বৃত্তি দেবে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাটি এবার তিন হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে।২০১২ সাল থেকে প্রবাসীর সন্তানদের জন্য এ বৃত্তি চালু হয়।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস বলেন, প্রতিবছর নতুন করে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বৃত্তি হিসেবে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, তিন হাজার শিক্ষার্থীর জন্য বৃত্তি নির্ধারিত থাকলেও অনেক সময় এই পরিমাণ শিক্ষার্থী পাওয়া যায় না।
ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণি বা সমমান, নবম শ্রেণি বা সমমান, উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল কলেজে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শর্তের মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালের প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৮০ পেয়ে পরের ক্লাসে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেব অধ্যয়নরত থাকতে হবে। তবে প্রবাসে মারা যাওয়া কর্মীর সন্তানেরা জিপিএ-৪ পেলেও আবেদন করতে পারবেন।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে যাঁরা বিদেশ গেছেন অথবা বিদেশে কর্মরত যেসব কর্মী দূতাবাস বা হাইকমিশনের মাধ্যমে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য হয়েছেন, তাঁদের সন্তানেরই শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত হারে বৃত্তি পাবে। সমাপনী পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাসে ৭০০ টাকা হারে বৃত্তি এবং বই কেনা ও অন্যান্য খরচের জন্য বছরে এককালীন ১ হাজার ৫০০ টাকা পাবে।
জেএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় মাসে এক হাজার টাকা করে এবং বই কেনা ও অন্যান্য খরচের জন্য বছরে এককালীন দুই হাজার টাকা পাবে।
এইচএসসি ও সমমান ক্যাটাগরিতে মনোনীত শিক্ষার্থীরা স্নাতক পর্যন্ত (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পাঁচ বছর পর্যন্ত মাসে দুই হাজার টাকা করে এবং বই কেনা ও অন্যান্য খরচের জন্য বছরে এককালীন তিন হাজার টাকা পাবে।
আবেদনের সঙ্গে যা জমা দিতে হবে
১. পিতা/মাতা প্রবাসী হওয়ার সপক্ষে আনুষঙ্গিক কাগজপত্র অর্থাৎ পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকপি, বিএমইটির বহির্গমন ছাড়পত্রসংবলিত পাসপোর্টের পৃষ্ঠা অথবা স্মার্ট কার্ড অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদের কাগজের ফটোকপি।
২. প্রবাসী যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে দূতাবাসের এনওসি ও মৃত্যুসনদ।
৩. শিক্ষার্থীর দুই কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি, যা প্রতিষ্ঠানপ্রধান দ্বারা সত্যায়িত।
৪. সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় পাসের নম্বরপত্রের ফটোকপি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান দ্বারা সত্যায়িত।
যেভাবে আবেদন করতে হবে:
আবেদনপত্রের কপি ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.wewb.gov.bd/) থেকে বিনা মূল্যে সংগ্রহ করা যাবে। যথাযথভাবে পূরণকৃত আবেদনপত্র ১৪ মার্চের মধ্যে সরাসরি বা ডাকযোগে পাঠাতে হবে। আবেদন পাঠানোর ঠিকানা: পরিচালক (আইআরপি) ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, রুম নম্বর ৯১২, নবম তলা, প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, রমনা, ঢাকা।
আবেদন ফরমে শিক্ষার্থীর মাতার (মাতার অনুপস্থিতিতে পিতা) ব্যবহৃত সঠিক মোবাইল নম্বর (রকেট অ্যাকাউন্টসহ) অবশ্যই আবেদনপত্রের সঙ্গে উল্লেখ করতে হবে।
এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জানতে প্রবাস বন্ধু কল সেন্টারে ফোন করা যাবে। ফোন নম্বর: ০১৭৮৪৩৩৩৩৩৩৩, ০১৭৯৪৩৩৩৩৩৩, ০২-৯৩৩৪৮৮৮।