প্রধানমন্ত্রী ১৫টির বেশি মাঠ দিচ্ছেন বাফুফেকে

বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে প্রধানমন্ত্রী ১৫টির বেশি মাঠ দিচ্ছেন বাফুফেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫টির বেশি ফুটবল টার্ফ (মাঠ) উপহার দিতে যাচ্ছেন বাফুফেকে। চলতি বছরই বাফুফের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে স্থান।

শুধু তাই নয়, কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফ এ বছরই পরিবর্তন করতে চায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তবে বাফুফের চাওয়া বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পুরোপুরি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত কমলাপুরের টার্ফ না তোলা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চোখের সামনে বিশ্বকাপ। ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রীর চোখের চাহনি পড়তে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। যদি বাংলাদেশ জিতত ওই সোনালি ট্রফিটা। তাহলে হয়তো ট্রফিটা দেশেই থেকে যেত।

বিশ্বকাপ ট্রফি দেখার দিন জাতীয় সংসদের লবিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বুঝতে পেরেছিলেন ভালো ফুটবলার গড়তে না পারলে স্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না। যার জন্য প্রয়োজন ভালো মাঠ। তাইতো সেদিনই ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে জানান, সারাদেশে ১৫টি ফুটবল টার্ফ উপহার দিতে চান তিনি। দেন শিগগিরই বাফুফের সঙ্গে আলোচনা করে স্থান নির্ধারণের নির্দেশনা।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলাদেশে আরও হতো ১০-১৫টি টার্ফ করার চিন্তাভাবনা আছে। এই অর্থবছরেই এগুলো হবে। এটার জন্য আলাদা বাজেট দেয়া হবে।

সারাদেশের বিভিন্ন জেলা পর্যালোচনা করে বসানো হবে ফুটবল টার্ফ। যেন ফুটবলার বেরিয়ে আসতে পারে। বিশেষ এই টার্ফে কেবল ফুটবল না, হবে অন্যান্য ডিসিপ্লিনের খেলা।

বাফুফেও খুশি প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে। এই প্রকল্পের আওতায় উঠানো হবে কমলাপুরের নানা সমালোচনার শিকার এই টার্ফ। যেখানে ইনজুরিতে পড়তে হয়েছিল প্রিমিয়ার লিগের অনেক ফুটবলারের। চলতি বছরেই এই টার্ফ উঠিয়ে ফেলতে চায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। কিন্তু ঢাকায় আর কোনো মাঠ প্রস্তুত না থাকায় খেলা চালাতে কঠিন হবে। তাই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সম্পূর্ণ নির্মাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত কমলাপুরের টার্ফ উঠিয়ে ফেলতে চায় না বাফুফে।

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী যেহেতু জিনিসটি জানিয়েছেন, এটা আমাদের জন্য খুশির খবর।

মাঠের সঠিক ব্যবহার আর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় একদিন হয়তো লাল সবুজের দেশটাও উঁচিয়ে ধরবে সোনালি কোনো ট্রফি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *