শিল্প ও বাণিজ্য

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৩ কোটি টাকা দিলো ওয়ালটন

ধূমকেতু প্রতিবেদক: বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ৩ কোটি টাকা দিয়েছে ওয়ালটন। এছাড়া, স্বাস্থ্যকর্মীদের ৬৫ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট) দিচ্ছে কোম্পানিটি। বাংলাদেশে নিজস্ব কারখানায় তৈরি করতে যাচ্ছে অক্সিজেন সরবরাহ যন্ত্র (ভেন্টিলেটর) সহ বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জাম।

রোববার (২৯ মার্চ) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুদানের চেক হস্তান্তর করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুদান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশী মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটনের পক্ষে ৩ কোটি টাকার চেক তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরীফ হারুনুর রশীদ ছনি।

এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই ব্যাপক কার্যক্রম চালাচ্ছে ওয়ালটন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মী, সংবাদকর্মী ও আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ৬৫ হাজার পিপিই দিচ্ছে ওয়ালটন। দরিদ্রদের জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে। একই সাথে প্রায় ২০ হাজার পয়েন্টের মাধ্যমে দেশের সর্বত্র সচেতনতা এবং সেনিটাইজেশন কার্যক্রম চালাচ্ছে দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

এছাড়া, নিজস্ব কারখানায় অক্সিজেন সরবরাহ যন্ত্র (ভেন্টিলেটর) সহ বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করতে যাচ্ছে ওয়ালটন। এজন্য চলছে প্রয়োজনীয় গবেষণার কাজ। খুব কম সময়ের মধ্যেই এটি সরবরাহ করা যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। ইতোমধ্যেই হ্যান্ড সেনিটাইজার তৈরি করে দেশব্যাপী বিতরণ করছে ওয়ালটন।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ওয়ালটনের এসব কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ মহামারি রোধে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম জানান, ইতোমধ্যেই ১৫ হাজার পিস প্রোটেকটিভ স্যুট, মেডিক্যাল মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও স্যু কভার বিতরণ শুরু করেছেন তারা। প্রক্রিয়াধীন আছে আরো ৫০ হাজার প্রোটেকশন ক্যাটাগরি-৩-এর পিপিই। যার মধ্যে রয়েছে প্রোটেকটিভ স্যুট, মেডিক্যাল মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যু কভার, সেফটি গগলস, হেড ক্যাপ, প্রোটেকটিভ শিল্ড ইত্যাদি।

এর আগে, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের জন্য সামাজিক সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে ওয়ালটন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মেটাতে যারা হিমশিম খাচ্ছেন, এরকম ৪০ হাজার মানুষের খাবার সরবরাহে কাজ করছে বিদ্যানন্দ।

এদিকে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী হ্যান্ড সেনিটাইজার তৈরি করছে ওয়ালটন। সেগুলো বিনামূল্যে দেশব্যাপী বিতরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের সুরক্ষায় মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড সেনিটাইজার ইত্যাদি তৈরি করে সরবরাহ করছে ওয়ালটন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *