খাদ্য-পুষ্টি

মুড়ির নানা গুণ

লাইফস্টাইল প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: মেঘলা দিনে বাইরে টিপ টিপ বৃষ্টি, বিকালে বা সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে আয়েশ করে গরম গরম চায়ের সঙ্গে অনেকেই মুড়ি খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার চানাচুর-মুড়ি একসঙ্গে মেখেও খান। এ তো গেলে বিশেষ দিনের পছন্দের খাবার। তবে দুপুরে লাঞ্চের বদলে হালকা পেট ভরাতে মুড়ি খাওয়াটা নাগরিক জীবনে দিনকে দিন বাড়ছে। ডায়েট হিসাবে মুড়ি বেছে নিচ্ছেন কেউ কেউ। কিন্তু প্রতিদিন মুড়ি খাওয়া কী স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তাহলে জেনে নিন।

-মুড়ি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে পারে। নিয়মিত মুড়ি খেলে পেটে অ্যাসিডের ক্ষরণে ভারসাম্য আসে। বাড়াবাড়ি রকমের অ্যাসিড হলে, মুড়ি পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন। এতে দ্রুত অ্যাসিডের সমস্যা কমবে।

-মুড়িতে ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে। এটি হাড় শক্ত করে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মুড়ি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কিছুটা হলেও বাড়তে পারে। তাই যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে, তারা এড়িয়ে চলুন।

-মুড়িতে ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলক কম। অল্প খিদে পেলে মুড়ি খেলে পেট ভরে যায়। ক্যালরির মাত্রা কম বলে মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে না। যারা হালকা খাবার হিসাবে নিয়মিত মুড়ি খান, তাদের পক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ। সাধারণত এক কাপ মুড়িতে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্যালরি থাকে।

-ভাত বা রুটির বদলেও মুড়ি খাওয়া যায়। কারণ, এটি শর্করাজাতীয় খাবার। তবে মুড়িতে লবণের পরিমাণ বেশি থকায় উচ্চ রক্তচাপ এবং হাইপার টেনশনের সমস্যা থাকলে পরিহার করা উচিত। চিনি দিয়ে ভেজে খাওয়া যায়, আবার মুড়ি মাখিয়েও খাওয়া যায়। তবে চানাচুরের বদলে ছোলা বা মটরশুঁটি দিয়ে মাখিয়ে খাওয়াটা তুলনামূলক বেশি ভালো।

-আজকাল ইউরিয়া-মিশ্রিত মুড়ি পাওয়া যায়, এগুলো না খাওয়াই উচিত। মুড়িতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। এ কারণে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের মুড়ি না খাওয়াই উচিত।

আরো পড়ুন:

মাশরুমের সেরা ৫ স্বাস্থ্য উপকারিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *