বিনোদন

প্রকাশিত হলো মিঠুন চক্রবর্তীর বায়োগ্রাফি

বিনোদন প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শের আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে বিগত কয়েক মাসে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অন্যতম চর্চিত অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রোলও হতে থাকেন কিন্তু দমে যাওয়ার পাত্র তিনি কোনওদিনই ছিলেন না। নানা প্রতিকূলতাকে পেরিয়ে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার যে জেদ,তারই আরেক নাম মিঠুন চক্রবর্তী। ডেবিউ করেছিলেন বাংলার কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের হাত ধরে ‘মৃগয়া’ ছবিতে।

প্রথম ছবিই তাঁকে এনে দিয়েছিল জাতীয় পুরস্কার। জাতীয় পুরস্কারের পর ১৯৭৬ সালে উত্তর কলকাতার এই যুবকের ভারতীয় ছবিতে সুপারস্টার হয়ে ওঠার জার্নিটা খুব একটা সোজা ছিল না। সেইসময়ের নায়কদের মতো সুদর্শন না হওয়া সত্ত্বেও পর্দায় তাঁর অভিনয়, তাঁর নাচ মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। অন্যান্য সুপারস্টারদের পাশাপাশি নিজের ছকেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন প্যারালাল স্টারডম। যা আজও অক্ষুন্ন। তবে সমস্ত স্টারডমকে পাশে রেখে তিনি এখনও মাটির কাছাকাছি থাকতেই পছন্দ করেন।  তিনবার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই অভিনেতা এখনও অবলীলায় বলতে পারেন, ‘কিছুই অ্যাচিভ করতে পারিনি’। তাঁর এই বর্ণময় জীবনের কাহিনিই এবার উঠে আসতে চলছে তাঁর জীবনীতে। ফিল্ম সাংবাদিক রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের লেখা এই বায়োগ্রাফির নামকরণ করা হয়েছে ‘Mithun Chakraborty, The Dada of Bollywood’।

অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর রাজ্যপাটের ইতিহাস যেমন রয়েছে এই বইয়ে, তেমনই রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কথা, রয়েছে তাঁর রাজনৈতিক সচেতনতার কথাও। তবে অভিনেতা কখনই চাননি তাঁকে নিয়ে কিছু লেখা হোক। অভিনেত্রী হেমা মালিনীর অনুরোধেই রাম কমলকে এই বই লেখার অনুমতি দেন মিঠুন চক্রবর্তী। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর যখন বলিউডে ইনসাইডার আর আউটসাইডার নিয়ে তরজা তুঙ্গে, তখনই রাম কমল ভাবেন, বিটাউনের অন্যতম সফল

আউটসাইডার মিঠুন চক্রবর্তীর জার্নি এই সময় তুলে ধরা খুব জরুরি কারণ তাঁর জীবন উৎসাহ দিতে পারে নতুন অভিনেতা অভিনেত্রীদের। যাতে তাঁরা সুশান্তের মতো হেরে না গিয়ে মিঠুনের মতো জীবনযুদ্ধে চাম্পিয়ন হতে পারে। তবে শুধু সাফল্যের কাহিনিই নয়, এই বইতে উঠে আসবে ব্যক্তি মিঠুনের হতাশা ও ভয়ের কথাও। যেহেতু তাঁর জীবনযুদ্ধের গল্প কোনও সিনেমার থেকে কম নয়,তাই এই বইটি লেখাও হয়েছে চিত্রনাট্যের আকারে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *